এক কিশোর ও এক কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, প্রেমে বাধা পেয়ে তারা আত্মঘাতী হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বারাসত পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের আশুতোষ ঘোষ রোডে ওই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, দু’জনেই স্কুল পড়ুয়া। লেখাপড়া সূত্রেই দু’জনের পরিচয়। তা থেকেই প্রেমের সম্পর্ক। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দু’টি দেহই উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে শুক্রবার ময়নাতদন্ত করায় বারাসত থানার পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মৃত কিশোরের বাবা-মা নেই। বারাসতে দাদু-দিদার কাছে থেকে ওই কিশোর লেখাপড়া করত। বেলঘরিয়ায় একটি স্কুলে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। লেখাপড়ার সূত্রে তার সঙ্গে সম্পর্ক হয় বারাসতেরই কাজিপাড়ার বাসিন্দা ওই কিশোরীর সঙ্গে। মাঝেমধ্যে দু’জনে মিলে একসঙ্গে পড়াশোনা করত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ওই কিশোরের বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বিকেলে কিশোরীটি সেখানে যায়। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় মেয়েটির বাড়ির লোকজন ওই বাড়িতে খুঁজতে এসে দেখেন, দরজা বন্ধ। কেউ নেই।
শুক্রবার ছেলেটির দিদিমা বলেন,‘‘মেয়ের বাবা রাতেই আমাকে ফোন করেন। জানতে পারি দরজা ভিতর থেকে বন্ধ, কেউ সাড়া দিচ্ছে না।।’’ এর পরেই জড়ো হন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপর বেশি রাতে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দু’জনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তবে তার আগেই মৃত্যু হয় দু’জনের।
দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে আপত্তির কথা অবশ্য মানতে চায়নি মেয়ের পরিবার। এ দিন ছেলেটির দাদুও বলেন, ‘‘ওদের কোনও কিছুতেই আপত্তি করা হয়নি। অল্প বয়স, লেখাপড়া করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে বলতাম। মেয়েটিকেও ওর বাড়ির কেউ বকাবকি করেছে বলে শুনিনি।’’
কিন্তু তার জেরে যে এমন কাণ্ড ঘটবে এমনটা তাঁরা ভাবতে পারেননি বলে দাবি দুই পরিবারের সদস্যদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy