Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Madhyamik 2024 Suggestion

মাধ্যমিকে ইংরেজিতে ভাল ফল করতে কী কী বিষয় মনে রাখতে হবে? রইল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষা, অর্থাৎ ইংরেজি পরীক্ষার জন্য পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়তেই হবে। একই সঙ্গে ইংরেজি ব্যকরণের নিয়মগুলি রপ্ত করে নিতে হবে, যাতে বাক্য গঠনের জন্য বেশি সময় ব্যয় না হয়।

exam hall.

প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৯
Share: Save:

স্কুলপড়ুয়াদের কাছে মাধ্যমিক জীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। প্রায় সব শিক্ষার্থীরাই প্রতিটি বিষয়ে ভাল নম্বর তোলার লক্ষ্য রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। তবে, প্রথম ভাষা বাংলার পাশাপাশি, দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজি নিয়ে বহু শিক্ষার্থী দুশ্চিন্তায় ভোগে। এই বিষয়টিকে সহজে রপ্ত করতে হলে, যে বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখতে হবে, তা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ইংরেজির শিক্ষিকা সুকন্যা দাশগুপ্ত।

প্রথমেই তিনি আলোচনা করেছেন, প্রশ্নপত্র অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরা কী ভাবে প্রস্তুতি নেবে? মোট চারটি ভাগে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে, যার প্রথম ভাগে ‘রিডিং কম্প্রিহেনশন (সিন)’, দ্বিতীয় ভাগে ‘রিডিং কম্প্রিহেনশন (আনসিন)’, তৃতীয় ভাগে ‘গ্রামার অ্যান্ড ভোকাবুলারি’ এবং শেষ ভাগে থাকে ‘রাইটিং স্কিল’। ‘রিডিং কম্প্রিহেনশন (সিন)’-এর জন্য পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। প্রতিটি শব্দের অর্থ বুঝে তবেই গল্প, প্রবন্ধ এবং কবিতাগুলি পড়ে প্রশ্নের উত্তর লেখার অভ্যাস করতে হবে।

‘রিডিং কম্প্রিহেনশন (সিন)’-এর প্রশ্নের ক্ষেত্রে মাল্টিপল চয়েস, সত্য মিথ্যা যাচাই করা, কজ় অ্যান্ড এফেক্ট, বাক্য সম্পূর্ণ করো-র মতো প্রশ্নের দ্রুত উত্তর লেখার অভ্যাস করতে হবে। সঠিক উত্তর বেছে নেওয়া, সত্য মিথ্যার ক্ষেত্রে যথাযথ উত্তর লেখা এবং দু’নম্বরের প্রশ্নের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত উত্তর লেখার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

‘রিডিং কম্প্রিহেনশন (আনসিন)’ পর্বের ক্ষেত্রে আগে ভাল করে শব্দের অর্থ বুঝে নিতে হবে। তার পর প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক আনসিন প্যাসেজ পড়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে দ্রুত পড়তে পারার দক্ষতা বাড়বে। পাশাপাশি, প্যাসেজের মধ্যে উত্তর খুঁজে তা ব্র্যাকেট-এর মধ্যে রাখলে উত্তর লেখার সময় নতুন করে পড়ার ঝক্কি থাকবে না।

‘গ্রামার’-এর ক্ষেত্রে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি, সহায়িকা বইয়ের সাহায্যে সমস্ত প্রশ্নোত্তর লেখার অভ্যাস করতে হবে। প্রতি দিন অন্তত দু’টি প্রশ্নপত্র সলভ করতে হবে। এতে বাক্য গঠন, বাক্য পরিবর্তনের সঙ্গে ফ্রেজাল ভার্ব, প্রিপোজ়িশন, ক্রিয়া ব্যবহারে কৌশলও সহজেই আয়ত্তে আনা সম্ভব। এই কৌশলের সাহায্যে এই অধ্যায় থেকে সঠিক উত্তরের জন্য পূর্ণমান পাওয়া সম্ভব।

‘রাইটিং স্কিল’ বিভাগের ক্ষেত্রে কম সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট শব্দের অনুচ্ছেদ লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞপ্তি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন, ব্যক্তিগত চিঠি লেখার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এই ক্ষেত্রে প্রতিটি ধাপ সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ হলে তবেই ভাল নম্বর আসতে পারে। অর্থাৎ চিঠির ক্ষেত্রে প্রেরকের তথ্য অসম্পূর্ণ থাকলে, কিংবা বিষয়বস্তু উল্লেখ না করা থাকলে, সম্পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে না। তাই প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

পাশাপাশি, যে ভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে, সেই চাহিদা অনুযায়ী উত্তর লিখতে হবে। কোনও ‘প্রসেস রাইটিং’-এর ক্ষেত্রে যদি ভাববাচ্য অর্থাৎ প্যাসিভ ভয়েসে লেখার নির্দেশ দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে উত্তর ওই নির্দেশ অনুযায়ী লিখতে হবে। তেমনই চিঠি লেখার ক্ষেত্রে অতীত কাল ব্যবহার আবশ্যক। প্রতি দিন এই ধরনের লেখার অভ্যাস করতে হবে। তবেই শিক্ষার্থীদের ইংরেজি লেখার মান বৃদ্ধি পাবে, ছোট ছোট ভুল সংশোধন হবে। পরীক্ষা প্রস্তুতির এই অভ্যাসগুলি বজায় থাকলে মাধ্যমিকে ভাল নম্বর পাওয়াও সহজ হয়ে উঠবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE