Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Sports Competition 2024

রাজ্যের বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের স্বনির্ভর করতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সংস্থা

কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৪ সাল থেকে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা শুরু করেছে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে বিদ্যার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০০ মতো।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা। নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০২
Share: Save:

বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের নিয়ে আয়োজন করা হল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো এরাও জীবন যাপন করতে চায়, এই শিশুদের বিশেষ শিক্ষা ও চিকিৎসার পাশাপাশি স্বনির্ভর করতে উদ্যোগী হয়েছে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর দি এমপাওয়ারমেন্ট অফ পারসেন্স উইথ ইন্টালেকচুয়াল ডিসিবিলিটিজ’ নামক এই প্রতিষ্ঠানটি। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৪ সাল থেকে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা শুরু করেছে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে বিদ্যার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০০ মতো। বিশেষভাবে সক্ষম এই শিশুদের নিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হল প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে। ক্রিকেট থেকে দৌড় নানান প্রতিযোগিতা ও খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করল শিক্ষার্থীরা।

কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানটি হায়দ্রাবাদ সহ মুম্বাই, দিল্লি ও কলকাতাতে বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদেরকে প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও হাতের কাজের মাধ্যমে স্বনির্ভর করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্পেশাল এডুকেশনের শিক্ষিকা অলকানন্দা বলেন, “এরা বিশেষভাবে সক্ষম, আর পাঁচটা বাচ্চার মতো এদেরও স্বাভাবিক জীবনে বাঁচার অধিকার রয়েছে। এরা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের স্বনির্ভর করে তুলতে পারে তাই আমাদের এই বিশেষ উদ্যোগ। বিশেষভাবে সক্ষমরা যাতে অবহেলিত না হয় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এটাই আমরা চাই।”

দৌড় প্রতিযোগিতায় বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা।

দৌড় প্রতিযোগিতায় বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা। নিজস্ব চিত্র।

বিশেষ শিক্ষার পাশাপাশি, হাতের কাজের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এই বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য। এদের মধ্যে যাঁদের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে তাঁদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। আর এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বহু বিশেষ ভাবে সক্ষমরা বুটিকে কাজ করছেন, গহনা নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। বিভিন্ন মেলায় এরা নিজেদের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করেন। যেমন, সবলা মেলা, সরস মেলা, হস্তশিল্প মেলা-সহ নানান মেলায়। বর্তমানে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষ ভাবে সক্ষমদের সংখ্যা প্রায় ১৫০-এর মতো।

শিক্ষকদের সঙ্গে বিশেষ মুহূর্তে পড়ুয়ারা

শিক্ষকদের সঙ্গে বিশেষ মুহূর্তে পড়ুয়ারা নিজস্ব চিত্র।

এই প্রতিষ্ঠানের অফিসার ইনচার্জ টি মুগেশ বলেন, “বিশেষ ভাবে সক্ষম হলেও এই সকল শিশুদের মধ্যে বহু প্রতিভা রয়েছে আমরা সেগুলি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করি। তার ফলে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে খেলাধূলা সবেতেই তাঁরা সামনের সারিতে এগিয়ে আসছে। বার্ষিক প্রতিযোগিতায় যারা ভাল ফল করে তাদের জেলা ভিত্তিক প্রতিযোগিতাতেও অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়।”

শুধু স্বনির্ভর করাই নয় বিভিন্ন সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রদর্শন থেকে গান গাওয়া তাতেও অংশগ্রহণ করে ওরা। এছাড়াও ওদের জন্য জাতীয় স্তরের বিভিন্ন খেলাধূলার ব্যবস্থা করা হয়, যেখানে তারা অংশগ্রহণ করে। বর্তমানে এখান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে গত দু’বছরে ১০ থেকে ১২ জন জাতীয় স্তরে খেলাধূলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sports competition
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE