ভর্তিতে দেরি আর মানতে নারাজ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারকে মান্যতা দিয়ে, জয়েন্ট বোর্ডের হাত থেকে স্নাতকোত্তরে ভর্তির ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিতে চলেছে প্রেসিডেন্সি।
২০১৫ সাল থেকে স্নাতকোত্তরে ভর্তির প্রবেশিকা নিয়ে আসছে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। ১০ বছর বাদে বিশ্ববিদ্যালয় নিজে স্নাতকোত্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে চলেছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে এই বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোণার বলেন, "আজকে অ্যাডমিশন কমিটি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ভর্তির প্রক্রিয়া উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতকের নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে বলে প্রস্তাব দিয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কমিটি ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায়। এমনটাই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষকে।"
এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৪০:৬০ অ্যাকাডেমিক ওয়েটেজ ভিত্তিতে প্যানেল তৈরি করে দ্রুত এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে। ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার প্রস্তাব অ্যাডমিশন কমিটির।
আরও পড়ুন:
অ্যাডমিশন কমিটির সঙ্গে যুক্ত এক প্রবীণ অধ্যাপক জানান, ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব তাঁরা পাঠিয়ে দিয়েছেন জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের কাছে। দু'দিনের মধ্যেই তাঁরা এই প্রক্রিয়া চালু করবেন।
ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ৯০% আসন স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়ে গেছে। তাঁরা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়েরই পড়ুয়া। বাকি ১০ শতাংশ যাঁরা বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রেসিডেন্সিতে এসে স্নাতকোত্তর করতে চায় তাঁদের প্রবেশিকা পরীক্ষা গ্রহণ করত রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। স্নাতকোত্তরে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন ৬৫০ মতো।
১ অগস্ট রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয় ৮ অগস্ট থেকে শুরু এই প্রক্রিয়া। স্নাতকোত্তরে ক্লাস শুরু ১ সেপ্টেম্বর থেকে। কিন্তু তারপরেই ওবিসি মামলায় আইনি জটিলতার কারণে সেই প্রক্রিয়ায় শুরু করতে পারেনি বোর্ড। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে এ বার স্নাতকোত্তরের ভর্তি প্রক্রিয়ার নিজেদের হাতে নিতে চলেছে প্রেসিডেন্সি। ইতিমধ্যেই ঠিক হয়েছে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতকেরও ভর্তি প্রক্রিয়া গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় নিজে। তবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে পুজোর পর।