পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী ফাই চিত্র
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গড় বেহালা পশ্চিমে ভাঙন ধরালেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবারের নরেন্দ্র মোদীর বিগ্রেডের জনসভার প্রস্তুতি ও প্রচারের জন্য বেহালার বীরেন রায় রোড সংলগ্ন মুচিপাড়া মোড়ে বিজেপি-র পথসভা ছিল শনিবার রাতে। সেখানেই শিক্ষামন্ত্রীর কেন্দ্রের একঝাঁক তৃণমূল নেতা-কর্মী যোগদান করেন বিজেপি-তে। শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শঙ্কর শিকদার, অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল যুব সংগঠনের সহ-সভাপতি মৈনাক চট্টোপাধ্যায়-সহ ৩৫০ জন কর্মী, সমর্থক বিজেপি-তে যোগদান করেন। ঘটনাচক্রে, শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি-র প্রার্থী হিসেবে শুভেন্দুর নাম ঘোষিত হয়। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে বিজেপি-র পক্ষ থেকে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে লড়তে ভবানীপুর থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে গিয়েছেন মাননীয়া।’’ শুভেন্দু আরও বলেছেন, ‘‘শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের মিটিং-মিছিল করব। আর কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করব। এই রাজনীতি আর বাংলায় চলতে পারে না। গত ১০ বছর মুখ্যমন্ত্রী এই ভাবে রাজ্যকে পিছিয়ে দিয়েছেন। সবার আগে এই রাজ্যের সরকারকে উৎখাত করতে হবে।’’
পার্থকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘এখানে যিনি আছেন, তিনি রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ডকে তুলে দিয়েছেন। আগে রাজ্যের শিল্পের অবস্থান বারোটা বাজিয়েছেন। ক্লাস এইটের বইতে আকাশকে ‘আসমান’, জলকে ‘পানি’ বলা হচ্ছে। মাকে ‘আম্মু’। মাসিকে ‘ফুফু’ বলা হচ্ছে। এগুলো যিনি বলেছেন, তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।’’ এর পর শুভেন্দুর সংযোজন, ‘‘আমার যেসব ভাইয়েরা আজ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিলেন, তাঁদের জেলা সভাপতি সদস্যপদ দেবেন। এ বার তাঁরাই পার্থবাবুকে হারানোর কাজ করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy