রুপোলি পর্দার অভিনেত্রী তিনি। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, আর্কলাইটের আলোর মতোই ঝলমলে তাঁর জীবন। মঙ্গলবার, জন্মদিনে প্রকাশ্যে সুস্মিতা রায়ের জীবনের আরও একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দিক। এ দিন স্বামীর সঙ্গে একজোটে বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করলেন তিনি।
তাঁদের বিচ্ছেদের খবরে সায় দিয়েছেন, সুস্মিতার বন্ধু ও দেওর অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী। তিনি আনন্দবাজার ডট কমকে জানান, কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। সুস্মিতা এবং তাঁর স্বামী বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। অভিনেত্রীকে এখন জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’তে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
এ দিন সমাজমাধ্যমে দম্পতি একসঙ্গে একটি বার্তা দেন। সেখানে অভিনেত্রীর স্বামীর তরফ থেকে বার্তা আসে, উভয়ের সম্মতিতেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন তাঁরা। এটাই সুস্মিতাকে জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর স্বামীর শেষ পোস্ট। একই সঙ্গে অনুরোধ জানান, তাঁর স্ত্রীকে বা তাঁর মন্তব্য বাক্সে যেন এর পরেই সকলে কটূক্তিতে ভরিয়ে না দেন। প্রসঙ্গত, আড়াই বছর আগেও তাঁরা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সায়কের কথায়, “ওঁরা সে সময়েও একবার বিচ্ছেদের কথা ভেবেছিলেন। তার পর সব ভুলে আগের মতোই এক ছাদের নীচে বসবাস করতে থাকেন। ফলে, এই দিনটি যে দেখতে হবে সেটা একেবারেই ভাবতে পারিনি।” আনন্দবাজার ডট কম সুস্মিতার সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করেছিল। তাঁর ফোন ব্যস্ত।
গত নভেম্বরে সুস্মিতার স্বামীর জন্মদিন ছিল। সে দিন সুস্মিতা আর তাঁর বান্ধবী একসঙ্গে মিলে দারুণ হই হই করেছিলেন। তখনও বোঝা যায়নি, মাত্র কয়েক মাসে বদলে যাবে সেই ছবি। সুস্মিতা সুন্দরবনের মেয়ে। লড়াই তাঁর জীবন জুড়ে। ছোট পর্দায় নিজের পরিচিতি তৈরি করা খুব সহজ ছিল না তাঁর কাছে। স্বাভাবিক ভাবেই অভিনেত্রীর অনুরাগীদের মনখারাপ এই খবরে। প্রতি বারের মতো এ বারেও লড়াইয়ে জিতবেন তিনি, এই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রত্যেকে।