‘ডক্টর জি’-র শ্যুটিং হয়েছে ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
অতিমারি আবহে শ্যুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে নাজেহাল হয়েছিলেন পরিচালক অনুভূতি কাশ্যপ। মেডিক্যাল কলেজের দরজায় দরজায় ঘুরেও লাভ হয়নি। শেষমেশ জায়গা দিয়েছিল ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়। ২০ বছর পর এই প্রথম কোনও ছবির শ্যুটিং হয়েছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ছবির নাম ‘ডক্টর জি’।
আয়ুষ্মান খুরানা, রকুল প্রীত অভিনীত এই ছবির নির্মাণ ঘিরে আতঙ্কের অধ্যায়। ২০২১ সাল। ঘরে ঘরে করোনা। সব কলাকুশলীর স্বাস্থ্যের খেয়াল রেখে কাজ করা অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। ছবির জন্যও প্রয়োজন ছিল হাসপাতালের চৌহদ্দি। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের একটি মেডিক্যাল ক্যাম্পাসও শ্যুটিং করতে দিতে রাজি হয়নি।
ছবিতে ডাক্তার উদয় গুপ্তের ভূমিকায় আয়ুষ্মান। স্ত্রীরোগ বিভাগে একমাত্র পুরুষ ছাত্র হিসাবে তিনি যোগ দিয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজে। সেই দৃশ্যগুলির শ্যুটিং হয় এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে পরিচালক বলেন, “আমরা ভোপালে শ্যুট করতে চেয়েছিলাম। ঘেরা জায়গায়। কিন্তু কোভিড এসে সমস্ত ভেস্তে দিল। হাসপাতাল চত্বরে আর ঢোকার অনুমতি পেলাম না। এমনকি, ইনদউরে আমরা একটা জায়গা পেয়েও গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে করোনার এমন বাড়াবাড়ি হল যে, জায়গা বদলাতে বাধ্য হলাম।
লখনউয়ে শ্যুটিংয়ে হবে ভেবেই আমরা চিত্রনাট্য লিখেছিলাম। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় আমরা জায়গা খুঁজে বেড়িয়েছি। তবে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্য-কারুকাজ আমাদের মনে ধরেছিল। লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস এ রকমই দেখতে হওয়ার কথা ছিল, তাই ইলাহাবাদ দিয়েই কাজ সেরে নিই।” ভাল করে বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখেছিলেন ‘ডক্টর জি’ সদস্যরা।
নতুন করে পরিকল্পনা করতে কিছু দিন সময় লেগেছিল। উপাচার্য নিজেও শ্যুটিংয়ের সময় ঘুরে গিয়েছেন বলে জানান অনুভূতি। সব রকম সহযোগিতা পেয়েছেন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। অন্য দিকে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেও গত ২০ বছরে আর কোনও ছবির শ্যুটিং হয়নি। তাই তাঁদের তরফেও উৎসাহ দেখা গিয়েছে। শেষ যে ছবির শ্যুটিং হয়েছিলে সেখানে, তার নাম ‘হাসিল’। পরিচালক তিগ্মাংশু ধুলিয়া। সেই ক্যাম্পাসেই তৈরি হল ‘ডক্টর জি’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy