বিয়ের ১৪ বছর পর বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন বরখা বিস্ত ও ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। সম্প্রতি বিচ্ছেদ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন বরখা। পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে। এ বার অতীতের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করলেন ইন্দ্রনীল। তাঁদের বিয়েকে ‘ব্যর্থ’ আখ্যা দিতে নারাজ অভিনেতা। তবে তিনি মনে করেন, বিবাহবিচ্ছেদ তাঁর মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তনই ঘটিয়েছে।
অভিনেতা জানান, বরখা ও তাঁর স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব। তাঁদের জীবনের পথও ভিন্ন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিত্বে বদল ঘটে। ইন্দ্রনীল বলেন, “সম্পর্কের প্রথম দিন থেকে আমাদের ব্যক্তিসত্ত্বা ভীষণ আলাদা। দিন যত গড়িয়েছে, আমাদের স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। ব্যর্থ শব্দটির সঙ্গে আমি সহমত নই। কোনও কিছুই ব্যর্থ হয়নি।” বরখার সঙ্গে ১৪ বছরের বৈবাহিক জীবন সফল বলেই মনে করেন অভিনেতা।
২০০৮ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন ইন্দ্রনীল-বরখা। ২০১১ সালে তাঁদের জীবনে আসে কন্যাসন্তান মাইরা। জুটির বিচ্ছেদের পর মায়ের সঙ্গেই থাকে ১৩ বছরের মেয়ে। কন্যার জীবনে বাবার সক্রিয় উপস্থিতি নেই, তা নিয়ে মনখারাপ ছিল বরখারও। মাইরার জীবনে বাবার অনুপস্থিতি নিয়ে কেউ কেউ বরখাকেই দায়ী করেন, কিন্তু আসল ঘটনা তা নয়। পুরনো এক সাক্ষাৎকারে এমনই জানান বরখা। ২০২২ সালে আইনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারকা দম্পতি।