পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। ১৫ দিনের মাথায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলি। এমনই জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। মধ্যরাতে চলেছে এই অভিযান। ভারতের এই পদক্ষেপের জয়জয়কার করছেন বলিউডের তারকারও।
কঙ্গনা রনৌত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর লোগো ভাগ করে নিয়েছেন। তার সঙ্গে স্পষ্ট জানিয়েছেন, সন্ত্রাসকে বিন্দুমাত্র সহ্য করা যাবে না। তিনি লিখেছেন, “ভারতীয় সেনার এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।” দেশপ্রেমের কথা উঠে আসে অক্ষয় কুমারের ছবিতে। পদ্মশিবিরের সমর্থক বলেও তিনি পরিচিত। অভিনেতা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর লোগো ভাগ করে নিয়ে লিখেছেন, “জয় হিন্দ, জয় মহাকাল”।
সুনীল শেট্টিরও স্পষ্ট বক্তব্য, “সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই। সন্ত্রাসকে বিন্দুমাত্র সহ্য করা হবে না। শুধুই সুবিচার হবে।” রীতেশ দেশমুখ লিখেছেন, “ভারতীয় সেনার জয় হোক। ভারতমাতার জয় হোক।” পরিচালক মধুর ভান্ডারকর এই ঘটনা নিয়ে লিখেছেন, “আমাদের বাহিনীর সঙ্গে আমাদের শুভকামনা রয়েছে। আমরা একটাই দেশ। আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। জয় হিন্দ। বন্দে মাতরম।”
বলিউড থেকে নিমরত কৌর, সামান্থা রুথ প্রভু, বিবেক অগ্নিহোত্রী, বিক্রান্ত মাসে-সহ অনেকেই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জন্য ভারতীয় সেনার জয়জয়কার করছেন।
এই অভিযানের নাম কেন ‘অপারেশন সিঁদুর’ রাখা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হিন্দু মহিলারা সাধারণত কপালে সিঁদুর পরে বিবাহের চিহ্ন বহন করেন। অভিযোগ, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা সেই চিহ্ন মুছে দিয়েছে। নিহতদের মধ্যে এমন অনেকেই ছিলেন, যাঁদের সদ্য বিয়ে হয়েছিল। তাঁরা মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর সদ্যবিধবা মহিলাদের করুণ ছবি সমাজমাধ্যমে ছেয়ে গিয়েছিল। বিশেষ ভাবে ভাইরাল হয়েছিল হরিয়ানার নৌসেনা আধিকারিক বিনয় নরওয়ালের স্ত্রী হিমাংশী নরওয়ালের ছবি। সেই ছবি প্রতীকী হয়ে ওঠায়, এই অভিযানের নাম রাখা হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এমনই অনুমান পর্যবেক্ষকদের।