পহেলগাঁও-কাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় ভারতে ‘আবির গুলাল’ ছবির মুক্তি আটকানো উচিত নয়। এমনই মনে করেন প্রকাশ রাজ।
সারা দেশ যখন পাকশিল্পীদের বিরোধিতায় মুখর তখনই বিস্ফোরক দক্ষিণী অভিনেতা। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের নায়ক ফওয়াদ খানকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, নীল ছবি বা শিশু নির্যাতন ছবির বিষয়বস্তু না হলে সেই ছবিমুক্তি বন্ধ করা মানে শিল্পীর পরিশ্রমকে খাটো করে দেখা। একই সঙ্গে অভিনেতা তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে! বলেছেন, “সরকার নয়, অভিনেতার ছবি মুক্তি পাওয়া উচিত কিনা সেটা দর্শক ঠিক করুন।”
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরীহ পর্যটককে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। যার প্রভাব পড়েছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে। ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানি শিল্পীরা। একই ভাবে ভারতীয় শিল্পীদের গান পর্যন্ত সম্প্রচার করতে রাজি নন পাকিস্তানের সরকারি বেতার মাধ্যম। সমাজমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে না ফওয়াদ খান, হানিয়া আমির, মাহিরা খান-সহ এক ঝাঁক পাকিস্তানি অভিনেতাকে। ভারতের মতো পাকিস্তানেও মুক্তি পাচ্ছে না ফওয়াদের ছবিটি। পড়শি দেশের আপত্তির কারণ, তাঁদের দেশের নায়ক ভারতীয় নায়িকা বাণী কপূরের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি, পাক নায়কের সঙ্গে অভিনয়ের কারণে একই ভাবে হেনস্থার শিকার বাণীও।
এখানেই আপত্তি প্রকাশের। তাঁর মতে, “আমি ছবিমুক্তি আটকানোর বিপক্ষে। সেটি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচারধর্মী ছবি হোক বা বিরোধী দলের। সাধারণ মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। একমাত্র তাঁদেরই এই বিষয়ে কথা বলার অধিকার আছে।” এ প্রসঙ্গে তিনি উদাহরণ দিয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘পদ্মাবৎ’, ‘পাঠান’ ছবির। দ্বিতীয় ছবিতে গেরুয়া রঙের বিকিনি পরেছিলেন নায়িকা। প্রথম ছবিটি রাজস্থানের ‘পদুমাবৎ’ নিয়ে তৈরি। দু’টি ছবির কারণেই কর্ণীসেনার তরফ থেকে হুমকি পেয়েছিলেন নায়িকা।
আরও পড়ুন:
প্রথম ছবির জন্য তাঁকে বলা হয়েছিল, “রাজস্থানের ইতিহাস কলঙ্কিত হলে আপনার নাক কেটে নেব!” প্রকাশের ব্যঙ্গ, “ইদানীং, কথায় কথায় সকলে আঘাত পাচ্ছেন। যার জেরে ছবি বন্ধের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” সেই দিকে আঙুল তুলে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের। প্রকাশের যুক্তি, “‘কাশ্মীর ফাইলস’-এর মতো ছবি সহজে ছাড়পত্র পায়। কারণ, সেটি সরকারের হয়ে কথা বলেছে।” তাঁর উপলব্ধি, এই সরকার সমাজে ভয়ের আবহ তৈরি করতে চাইছে। তাই এই ধরনের পদক্ষেপ।