প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী, বলিউড অভিনেত্রীর ছোটবেলা। গ্রাফিক : সনৎ সিংহ।
২০০০ সালে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জেতেন তিনি। তার বছর তিনেক বাদেই বলিউডে অভিষেক। অভিনয় জীবনের শুরুর দিকে বেশ কিছু ছবিতে সুযোগ পেলেও ব্যর্থতা দেখেছেন অনেক। নাকের গড়ন থেকে শ্যামলা গায়ের রং— সমালোচিত হয়েছেন অনেক সময়ই। এমনকি নায়িকা এক সময় অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে নাকি বলিউডে একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল। তবে, বলিউডের পাট চুকিয়ে এখন তিনি আন্তর্জাতিক তারকা। হলিউডেই কাজ করছেন। মার্কিন পপ গায়ককে বিয়ে করে সেখানেই সংসার পেতেছেন। এ বার সেই নায়িকার তাঁর ন’বছর বয়সের একটি ছবি ভাগ করে নিলেন সমাজমাধ্যমে। আগে ভাগেই সকলকে সাবধান করলেন “দয়া করে ৯ বছরের আমিকে ট্রোল করবেন না।” পাশপাশি এ-ও জানান, বয়ঃসন্ধি কী ভাবে বদলে দিয়েছে তাঁকে।
যাঁর কথা হচ্ছে, তিনি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বসুন্দরী হন তিনি। দীর্ঘ ২৫ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন কর্মজীবনে। এক সময়ে যাঁর রূপ নিয়ে নানা সমালোচনা হয়েছে, তিনিই বড় হয়ে অনুপ্রাণিত করেছেন অনেককে। তাঁর আত্মবিশ্বাসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দুনিয়া। তবে আজকের এই প্রিয়ঙ্কা ও ছোটবেলার মেয়েটির মধ্যে ছিল অনেকটা পার্থক্য। এ বার নিজের কৈশোর ও যৌবনের দু’টি ছবি দিয়ে জানালেন এই পরির্বতন তাঁর হয়েছে আত্মচর্চা ও বয়ঃসন্ধির কারণে।
ছবি দু’টি দিয়ে প্রিয়ঙ্কা লেখেন, “আগে ভাগেই সতর্ক করছি ৯ বছরের ছোট্ট আমিকে ট্রোল করবেন না দয়া করে। ভাবতে অবাক লাগে বয়ঃসন্ধি এবং সঠিক গ্রুমিং কী করতে পারে একটি মেয়ের ক্ষেত্রে। বাঁ দিকের ‘আমি’টি প্রাক্-কৈশোরের। চুলে বাটি ছাঁট, যাতে স্কুলে যেতে সমস্যা না হয় (সবটাই মায়ের সৌজন্য)। আমি বাটি ছাঁট থেকে এই পর্যায়ে পৌঁছেছিলাম, যা নিঃসন্দেহে একটি জয়।” অভিনেত্রী তাঁর অন্য ছবিটি নিয়ে লেখেন, “ডান দিকের আমিটি, সদ্য মিস ইন্ডিয়া খেতাব জয়ের পর, ২০০০ সালে। যেখানে চুল, পোশাক, মেকআপ সব নিয়ে ঝলমলে। দুটো ছবিই তোলা হয়েছে দু’যুগ আগে।” আসলে এই ইন্ডাস্ট্রিতে ২৫ বছর পার করেও এখনও নিজেকেই খুঁজে বেরাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা।
সম্প্রতি তেমনই এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা বলেন, “আমি যখন ছবিতে অভিনয় করা শুরু করি, তখনই আমাকে শ্যামলা বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি তখন জিজ্ঞাসা করি, “শ্যামলা আবার কী?” তবে এ সব এখন অতীত, নিজের জোরেই পরিচিতি তৈরি করেছেন এই কন্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy