অহান পাণ্ডে ও অনীত পদ্দা অভিনীত ‘সইয়ারা’ ছবি দেখে মূর্ছা যাচ্ছেন এই প্রজন্মের দর্শকেরা। বহু বছর পরে নাকি বড় পর্দায় এমন প্রেমের আখ্যান দেখা গিয়েছে। কেউ ছবি দেখে কাঁদতে কাঁদতে অচৈতন্য হয়ে পড়ছেন। কেউ আবার অসুস্থ অবস্থায় স্যালাইন নিতে নিতেও দেখতে যাচ্ছেন ‘সইয়ারা’। ছবির গল্প কিংবা নায়ক-নায়িকার অভিনয়ই শুধু নয়, দর্শকদের মন কেড়েছে এই ছবির গান। ‘সইয়ারা’ ছবির টাইটেল ট্রেক এখন ভাইরাল। সমাজমাধ্যমের পাতায় রিল থেকে শুরু করে সর্বত্র এই গানের প্রশংসা। দর্শক মজেছেন এই গানে। ছবির অধিকাংশ গান গেয়েছেন বিশাল মিশ্র। সুরকার তানিষ্ক বাগচী। কিন্তু সবাইকে মাত করে দিয়েছেন কাশ্মীরি ছেলে ফাহিমা আবদুল্লার কণ্ঠে ‘সইয়ারা’ গানটি। এই গানের সুর একা তানিষ্কের নয়, সঙ্গে ছিলেন ফাহিম ও আর্সলান নিজ়ামি।
আরও পড়ুন:
মাত্র ১৪ দিনের টাকা নিয়ে মুম্বই এসেছিলেন ফাহিম ও তাঁর দীর্ঘ দিনের বন্ধু আর্সলান নিজ়ামি। দীর্ঘ দিন ধরেই কাশ্মীরে গানবাজনা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রচার বা পরিচিতি কোনওটাই হচ্ছিল না। ফাহিমা শুধু যে গান করেন, তেমনটা নয়, নিজেকে কবি বলেও পরিচয় দেন। তাঁর ইনস্টাগ্রামের বায়ো-তে গায়ক, কবি এমন নানা ধরনের পরিচিতি দেওয়া আছে। এ দিকে, এই গানের সুরকার আর্সলান নিজ়ামি ফাহিমের সঙ্গে জুটি বেঁধে গানবাজনা করতেন। কিন্তু একটা সময় সিদ্ধান্ত নেন, ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি আর করবেন না। গানকে পেশা করবেন। সেই কারণে চাকরি ছেড়ে দুই বন্ধু চলে আসেন মুম্বইয়ে। সম্বল বলতে ছিল মাত্র ১৪ দিনের টাকা। তাঁদের জীবনের গল্পটাও যেন খানিকটা সিনেমার মতোই। দিন ফুরোচ্ছে, টাকাও ফুরোচ্ছে। ১৩ দিনের মাথায় যখন টাকা তলানিতে, সে দিন সুরকার তানিষ্কের সঙ্গে দেখা ফাহিম ও আর্সলানের। বাকিটা ইতিহাস। এই মুহূর্তে ভারতে ইউটিউবে ১ নম্বর ট্রেন্ডে রয়েছে এই গান। একাধিক সুরকারের কাছ থেকে প্রস্তাবও পাচ্ছেন ফাহিম-আর্সলান জুটি।