রাঁধুনির পারিশ্রমিক শুনে প্রায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার জোগাড় হয়েছিল সলমন খানের ভগ্নীপতি আয়ুষ শর্মার। সম্প্রতি সাক্ষাৎকার নিতে সলমন ভগিনী অর্পিতা ও আয়ুষের বাড়িতে গিয়েছিলেন ফারহা খান। সেই বাড়ি নাকি বিপুল বিলাসবহুল। তার পরে আয়ুষ নিজেই সেই মহল্লা সম্পর্কে বলেন, “এটা হল মুম্বই শহরের দুবাই।” তার পরেই সেই এলাকায় রাঁধুনির পারিশ্রমিকের প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন অভিনেতা।
সলমনের ভগ্নীপতি জানান, রাঁধুনির পারিশ্রমিক শুনে নাকি তাঁর বুকের বাঁ দিক চিন চিন করে উঠেছিল। পারিশ্রমিক শুনে ভেবেছিলেন, এর চেয়ে বাইরে থেকে খাবার আনিয়ে খেলে অনেক সস্তায় হয়ে যায়। তাই আর রাঁধুনিকে রাখেননি অভিনেতা। তার পরে তাঁদের মুশকিল আসানের ভূমিকা নেন সলমনের মা সালমা খান।
সালমার রান্নাঘর থেকেই নাকি তাঁদের জন্য খাবার আসে। ফারহার ভিডিয়ো ভ্লগে আয়ুষ বলেন, “আমি এই এলাকায় রাঁধুনিকে পারিশ্রমিক জিজ্ঞাসা করেছিলাম। পারিশ্রমিক শুনে আমার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। বুঝলাম, এর চেয়ে খাবার আনিয়ে নেওয়াই ভাল।” কিন্তু আয়ুষের বাড়িতেই নাকি গোটা একটা রেস্তরাঁ আছে। এই শুনে আবার আকাশ থেকে পড়েন ফারহা খান। তিনি বলেন, “সত্যিই তুমি খুব ধনী।” তার পরেই অর্পিতা জানান, খাবার নিয়ে তাঁদের কোনও চিন্তাই করতে হয় না। কারণ, সালমা খান তাঁদের খাবার পাঠান নিয়ম করে। আরবাজ় খান ও সোহেল খানের বাড়িতেও সালমা খাবার পাঠান বলে জানান অর্পিতা।
আয়ুষ জানান, তিনি নাকি ভারতীয় খাবার ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারেন না। সেই জন্য এক ভারতীয় রাঁধুনিকে নিয়ে ফিনল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। এই শুনে আবার আঁতকে ওঠেন ফারহা খান। চমকে গিয়ে তিনি বলেন, “অনেক হয়েছে। আমি এ বার বাড়ি চলে যাচ্ছি।”