বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য বেঙ্গল ফাইল্স’ নিয়ে বিতর্ক জারি। বিশেষত ছবির নাম বদলে যাওয়া নিয়েও তরজা লেগে রয়েছে বিভিন্ন মহলে। কিন্তু ছবির নাম কেন বদলে গেল? অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেত্রী তথা বিবেক-জায়া পল্লবী যোশী।
এই ছবিতে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন ছবির নাম প্রথমে ছিল ‘দিল্লি ফাইল্স’। পরে যে নামে বদল হতে পারে, তাঁর কোনও ধারণাই ছিল না। অন্য দিকে পল্লবীর দাবি, ছবির নাম প্রথমে রাখা হয়, ‘দ্য দিল্লি ফাইল্স: বেঙ্গল চ্যাপ্টার’। তাই ছবির বিষয়বস্তু কী হতে পারে, সেই ব্যাপারে সব অভিনেতাই অবগত ছিলেন।
কিন্তু কেন ‘দ্য দিল্লি ফাইল্স: বেঙ্গল চ্যাপ্টার’ বদলে রাখা হল ‘দ্য বেঙ্গল ফাইল্স’? সাক্ষাৎকারে পল্লবী বলেছেন, “আমরা নিশ্চিত ছিলাম, ছবিটা দেশভাগ নিয়েই করব। সেখানে ১৯৪৬ সালে নোয়াখালির সংঘর্ষ দেখানো হবে, সেটাও আমরা ঠিক করেছিলাম। গবেষণা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা বুঝতে পারছিলাম না। তার পরে দেখলাম যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা পুরোটাই বাংলাকে ঘিরে।”
পল্লবী জানান, ছবির নামের মধ্যে ‘বেঙ্গল চ্যাপ্টার’ কথাটি ছিলই। তাই এই ছবির কেন্দ্রে বাংলার ঘটনা দেখানো হবে, এই নিয়ে কারও সন্দেহ ছিল না। অভিনেত্রী বলেছেন, “সবাই জানতাম, বাংলা নিয়েই কথা হবে এই ছবিতে। চিত্রনাট্য লেখার পরে ছবির নাম ঠিক করা হয়— ‘দ্য দিল্লি ফাইল্স: বেঙ্গল চ্যাপ্টার’। সেই নামও যুক্তিযুক্ত। কারণ রাজনীতির কেন্দ্র দিল্লি। এখন আমাদের রাজধানী দিল্লি।”
শেষ মুহূর্তে ছবির সঙ্গে জড়িত অনেকেই দাবি করেন, নাম হওয়া উচিত, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইল্স’। অভিনেত্রীর কথায়, “সকলেই বললেন, ছবির নাম বেশি জটিল করার দরকার নেই। আমরা যেমন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ তৈরি করেছিলাম। তেমনই এই ছবির নামও হওয়া উচিত ‘দ্য বেঙ্গল ফাইল্স’। তখনই আমরা ছবির নাম বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিই। ছবির শুটিং চলাকালীনই নাম বদলেছিলাম আমরা। তাই সকলেই সবটা জানত।”