রান্নাঘরে নিত্য দিন চিনির ব্যবহার। কিন্তু চিনির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতাও কমিয়ে দিতে পারে চিনি। অতিরিক্ত চিনি শরীরে মেদ বৃদ্ধির কারণ। মিষ্টির প্রয়োজনে চিনির পরিবর্তে কয়েকটি স্বাস্থ্যকর বিকল্পের সাহায্য নিতে পারেন। এই বিকল্পগুলির গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক কম। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে।
আরও পড়ুন:
স্টিভিয়া: মূলত উদ্ভিজ্জ সুইটেনার। এর মধ্যে কোনও ক্যালোরি থাকে না এবং গ্লাইসেমিক ইনডেস্কও শূন্য। বাজারে তরল, গুঁড়ো এবং বড়ির আকারে স্টিভিয়া পাওয়া যায়।
মঙ্ক ফ্রুট: এই ফলটির নির্যাস চিনির থেকে বহু গুণ বেশি মিষ্টি। এর মধ্যে ক্যালোরি এবং কোনও কার্বোহাইড্রেট থাকে না। পানীয়, দই এবং অন্যান্য ডেসার্টের সঙ্গে খুব সহজেই মিশিয়ে নেওয়া যায়। অন্যান্য কয়েকটি সুইটেনারের তুলনায় এটি খাওয়ার পর মুখের মধ্যে তেতো ভাব থাকে না।
কোকোনাট সুগার: বাজারে এখন এই ধরনের চিনি জনপ্রিয়। নারকেলের সাদা আঁশ থেকে এই চিনি তৈরি হয়। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। ক্যালোরি থাকলেও তা চিনির থেকে অনেকটাই কম। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
খেজুরের সিরাপ: খেজুরের মধ্যে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। খেজুর মিষ্টি বলেই এর থেকে তৈরি সিরাপটিও মিষ্টি হয়। চিনির পরিবর্তে সহজেই ব্যবহার করা যায়। তবে মিষ্টি বেশি বলে অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত।
মধু: মিষ্টির প্রয়োজনে মধুর ব্যবহার বহু প্রাচীন। তবে বাজারে এখন নানা ধরনের মধু পাওয়া যায়। উপকার পেতে অরগ্যানিক মধুই ব্যবহার করাই ভাল।