ঘুম থেকে ওঠার পরে শৌচাগারেই কেটে যায় একটি ঘণ্টা! তার কারণ, পেট পরিষ্কার না হওয়া।
কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটের নানা সমস্যার জন্য এমন যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা এবং তার জন্য কাজে দেরি হয়ে যাওয়া অনেকের জীবনেই নিত্যদিনের ঘটনা। তবে যন্ত্রণামুক্তির দিশা দেখাচ্ছে একটি গবেষণা। তাতে বলা হয়েছে, যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব যদি আগের দিন সন্ধ্যায় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা যায়।
জাপানের ‘ইয়াকুল্ট সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ মাইক্রোবায়োলজিকাল রিসার্চ’-এর গবেষণায় অন্ত্রের উপর দেহঘড়ির প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত পরীক্ষানিরীক্ষা হয়েছে। তাতেই দেখা গিয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার অনেকটাই নির্ভর করে দৈনন্দিন রুটিনের উপর। খাওয়া, ঘুমনো, ঘুম থেকে ওঠা এই সব কিছু প্রভাব ফেলে অন্ত্রে। তাই এই রুটিনে যদি জরুরি কিছু বদল ঘটানো যায়, তবে পরের দিন সকালের পেটের সমস্যাও থাকবে দূরে।
কী কী খেয়াল রাখবেন?
১। ঘুম থেকে ওঠা এবং ঘুমোতে যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন। এতে দেহঘড়ির একটি নির্দিষ্ট সময়ে সক্রিয় হবে। শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়বে। হজমেরও সুবিধা হবে।
২। রাতে বিছানায় যাওয়ার ২-৩ ঘণ্টা আগে নৈশভোজের পর্ব মিটিয়ে নিন। এতে খাবার হজম হওয়ার সময় পাবে। খাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লে খাবার হজম হয় না। তার প্রভাব পড়ে অন্ত্রে। নৈশাহারের পরে খিদে পেলে শোওয়ার আগে এক কাপ দুধ খেতে পারেন অথবা বাদামের মতো হালকা খাবার অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।
৩। সন্ধ্যায় কী খাচ্ছেন, তা-ও গুরুত্বপূর্ণ। বেশি ফাইবার রয়েছে এমন খাবার খেলে তা পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৪। প্রাপ্তবয়স্কদের সাধারণত ১২-১৫ কাপ পর্যন্ত জল খেতে বলা হয়। চেষ্টা করুন ওই পরিমাণ জল নিয়মিত খেতে। কারণ জল বেশি না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন:
৫। শুতে যাওয়ার আগে উষ্ণ পানীয় খেলে, তা-ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সাহায্য করতে পারে। ঈষদুষ্ণ জলে আদা, পুদিনাপাতা মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা দুধ খেতে পারেন।
৬। রাতের খাবার খাওয়ার পরে সম্ভব হলে ছাদে, বারান্দায় বা বাড়ির সামনের রাস্তায় অল্প হাঁটাচলা করে নিতে পারেন। গ্যাস, পেটফাঁপা বা অম্বলের সমস্যায় এটি কাজে লাগতে পারে।
৭। গবেষণা বলছে, মানসিক চাপও কোষ্ঠের সমস্যার কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘুমনোর আগে মেডিটেশনের মতো মন হালকা করার উপায়ও নিতে পারেন। যা মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি পেটের স্বাস্থ্যও ভাল রাখবে।