হিংয়ের দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
ছুটির দিন সকালের জলখাবারে হিংয়ের কচুরি আর আলুর দম বেশ জমাটি ব্যাপার। নিরামিষ বিউলির ডালেও অনেকে হিংয়ের ফোড়ন দেন। মশলা হিসেবে হিংয়ের জনপ্রিয়তা বহু প্রাচীন। তবে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে তোলাই এই আফগানি এই মশলার একমাত্র কাজ নয়। শরীর ভাল রাখতেও হিং দারুণ উপকারী। ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ হিং শরীরের অনেক সমস্যাই এড়াতে সাহায্য করে। কোন কোন শারীরিক সমস্যার মোকাবিলা করতে ভরসা রাখতে পারেন হিংয়ের উপর?
১) হজমে সাহায্য করে:
হিংয়ের জল বিপাকক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে। হজমের সমস্যা হলে এই পানীয় মোক্ষম দাওয়াই। হজম ভাল হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটখারাপ, পেটফাঁপার মতো সমস্যা বাগে আনতে নিয়ম করে এই পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন।
২) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হিং রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। তা ছাড়া রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি বেশ উপকারী।
৩) শ্বাসকষ্ট নিরাময় করে:
শীতকালে শুকনো কাশি, গলা খুসখুস, শ্বাস নিতে অসুবিধা, নাক বন্ধ থাকা ইত্যাদি লেগেই থাকে। নিয়মিত হিংয়ের জল খেলে শীতকালে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। মরসুম বদলের সময় হিংয়ের জল খেলে শরীর ও ফুসফুস, দুই-ই চাঙ্গা থাকে।
৪) ঋতুস্রাবের কষ্ট বশে রাখে:
ঋতুস্রাবের সময়ে অনেকেই পেশির টান ও অনিয়মিত রক্তক্ষরণের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হন। অনেকের মতে, এই সমস্যাগুলি থেকে চটজলদি আরাম পেতে কাজে আসতে পারে হিং।
৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে:
ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ঠান্ডা লাগার সমস্যা অনেকেরই হয়। নিয়মিত হিংয়ের জল খেলে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। ঋতুবদলের সময়ে নিয়মিত খেতে পারেন এই পানীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy