ক্ষতিকর কোলেস্টেরল শরীর থেকে দূর করতে সয়াবিনের জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত
স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের খেয়াল একসঙ্গে নিতে পারে কিছু খাবার। এই বৈশিষ্ট্য যে খাবারগুলির মধ্যে আছে, সোয়াবিন তার মধ্যে অন্যতম। ভরপুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সয়াবিন সব বয়সিদের জন্য সমান উপকারী। তবে কিডনির সমস্যা নিয়ে যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের সোয়াবিন খাওয়া বারণ।
সমীক্ষা বলছে, সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম সয়াবিন খেলে অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান হয়। সয়াবিন হাড়ের যত্ন নিতে পারদর্শী। বার্ধক্য পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না, অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে কম বয়সেই হাড়ের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। কিন্তু সয়াবিন হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। ঋতুবন্ধের পর মহিলাদের হাড়ে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ কমতে শুরু করে। হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। রোজকার ডায়েটে ফাইটোইস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ সয়াপ্রোটিন থাকলে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি কমে যায়। ইংল্যান্ডের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিষয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে। ঋতুবন্ধ হয়েছে এমন মহিলাদের নিয়ম করে ৩০ গ্রাম সয়াবিন টানা ৬ মাস খাওয়ানোর পর, রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, অস্টিয়োপোরেসিসের মতো হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যাকে প্রতিহত করতে পারার ক্ষমতা তৈরি হয়েছে শরীরে।
সয়াবিনে আছে আইসোফ্ল্যাভেন ও লেসিথিন। দু’টিই জোরালো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এলডিএল অর্থাৎ, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল শরীর থেকে দূর করতে সয়াবিনের জুড়ি মেলা ভার। সয়াবিনের আইসোফ্ল্যাভেন অত্যন্ত জোরাল ফাইটো ইস্ট্রোজেন। ত্বক ও চুল উজ্জ্বল এবং ঝকঝকে রাখতে এই যৌগ সাহায্য করে। সপ্তাহে দিন তিনেক ৫০ মিলিগ্রাম করে সয়াবিন খেলে এইচডিএল এবং এলডিএলের ভারসাম্য রক্ষা হয়। ফলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy