মনের সুস্থতার সঙ্গে শারীরিক সুস্থতা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। ছবি: সংগৃহীত।
অফিসে ৮-৯ ঘণ্টা বসে থেকে কাজ। শরীরচর্চার জন্য সময়ের অভাব। ঠিক সেই কারণেই ঘরে ঘরে এখন একটাই সমস্যা। কোমরে ব্যথা। কোমরের যন্ত্রণায় কষ্ট পাননি এমন সংখ্যা প্রায় হাতেগোনা। ২৫-এর তরুণ থেকে ৫০-এর প্রৌঢ়, কোমরে ব্যথা নিয়ে নাজেহাল সকলেই। মাঝেমাঝে এমন ব্যথা হয় যে, রোজের কাজকর্ম শিকেয় ওঠে। দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকা ছাড়াও কোমরে ব্যথা-বেদনা কিডনিজনিত সমস্যা, স্নায়ুর সমস্যা থেকেও হতে পারে। তবে এগুলি ছাড়াও কোমরে ব্যথা হতে মানসিক সমস্যা থেকেও। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন তেমনটাই।
মনের সুস্থতার সঙ্গে শারীরিক সুস্থতাও ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। বিশেষ করে মানসিক সমস্যার সঙ্গে কোমরে ব্যথার একটা সম্পর্ক রয়েছে। মানসিক টানাপড়েন, সম্পর্কের ভাঙন, মনের মধ্যে চেপে থাকা অসন্তোষ থেকে বৃদ্ধি পায় মানসিক উদ্বেগ। আর সেখান থেকে মানসিক অবসাদ। এই অবসাদ প্রতিফলিত হয় কোমরের ব্যথায়। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে স্নায়ুগুলি উত্তেজিত হয়ে পড়ে। রক্তবাহকগুলিও সঙ্কুচিত হয়ে থাকে। কোমরে বা পিঠের পেশিগুলিতে রক্ত সঞ্চালনেও ব্যাঘাত ঘটে। প্রভাব পড়ে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহে। ফলে কোমরে ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘মানসিক অবসাদ জীবনের উত্তেজনা খানিকটা কমিয়ে দেয়। ফলে বাইরের জগৎ থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নিতে ইচ্ছা করে। বাইরে বেরোনো কমে যায়। শারীরিক সচলতা কমে। সেই কারণে অনেক সময় কোমরে ব্যথা হয়। তা ছাড়া মন ভাল না থাকলে বাইরের খাবারের প্রতি ভালবাসা বেড়ে যায়। ‘বিঞ্জ ইটিং’ ওজন বাড়িয়ে দেয়। স্থূলতা অনেক সময় কোমরে ব্যথার কারণ হয়ে ওঠে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy