Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Milk

রোগা হবেন বলে প্রচুর পরিশ্রম করছেন? এই সময়ে দুধ খেলে কি পুরোটাই পণ্ডশ্রম হতে পারে?

ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি-তে ভরপুর দুধ খেলে শরীরের নানা সমস্যার হাত থেরে রেহাই পাওয়া যায়। ওজন কমানোর পর্বে দুধ বা দু্গ্ধজাতীয় খাবার খেলে কি সমস্যা হতে পারে?

শরীর ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তুলতে দুধের মতো উপকারী জিনিস কম রয়েছে।

শরীর ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তুলতে দুধের মতো উপকারী জিনিস কম রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২২ ২০:০২
Share: Save:

শরীরে পুষ্টির জোগান দিতে দুধের কোনও বিকল্প নেই। দুধকে সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই বলা যেতেই পারে। কেবল ছোটদের নয়, বড়দেরও রোজের খাদ্যতালিকায় দুধ থাকলে মন্দ হয় না। ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি-তে ভরপুর দুধ খেলে শরীরের নানা সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তবে প্রশ্ন ওঠে, যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁরা কি দুধ বা দুগ্ধজাতীয় কোনও খাবার খেতে পারেন?

দুধ নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর খাবার। নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। কিন্তু এতে ফ্যাটও যথেষ্ট রয়েছে। সেই কারণে ওজন কমানোর সময়ে নিয়মিত দুধ খাওয়া ঠিক হবে কি না, সে বিষয়ে অনেকেই সন্দিহান হয়ে পড়েন। দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ক্যালোরি— দুই-ই যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এক কাপ দুধে ক্যালোরির পরিমাণ ১৫২। এবং ফ্যাট থাকে ৫ গ্রাম। তাই ক্যালোরি নিয়ে যাঁরা অত্যধিক মাত্রায় সচেতন, তাঁরা দুধ থেকে খানিক দূরেই থাকেন। ওজন কমার বদলে বেড়ে যেতে পারে বলেই তাঁদের ধারণা। এ প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মতে, ওজন কমানোর চেষ্টায় দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় কোনও খাবার বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। বরং দুধ আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। কী ভাবে? দুধে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন।

ক্যালোরি নিয়ে যাঁরা অত্যধিক মাত্রায় সচেতন, তাঁরা দুধ থেকে খানিক দূরেই থাকেন।

ক্যালোরি নিয়ে যাঁরা অত্যধিক মাত্রায় সচেতন, তাঁরা দুধ থেকে খানিক দূরেই থাকেন। প্রতীকী ছবি।

শরীর ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তুলতে দুধের মতো উপকারী জিনিস কম রয়েছে। পেশির শক্তিশালী করতে দুধের ভূমিকা অসাধারণ। ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি-র মতো জরুরি পুষ্টিগুণও রয়েছে দুধ। হাড় শক্তিশালী করতে, রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে, শরীরের বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে দুধ। এক কাপ দুধে ৮ গ্রাম মতো প্রোটিন থাকে। তাই অল্প পরিমাণে দুধে প্রত্যেক দিন খেলে কোনও রকম ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

শরীরে ক্যালশিয়াম বেশি গেলে স্থূলতা, হৃদ্‌রোগ এবং টাইপ-টু ডায়াবিটিসের আশঙ্কাও কমায়। ওজন কমানোর পর্বে তো বটেই, প্রতি দিনের তালিকায় দুধ রাখা জরুরি। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এমনকি যাঁরা পিসিওডি, থাইরয়েডর সমস্যায় ভুগছেন, রোজের তালিকায় তাঁরাও দুধ রাখতে পারেন। যাঁরা ঋতুবন্ধের সময়ের কাছাকাছি চলে এসেছেন, তাঁদেরও নিয়ম করে দুধ খাওয়া প্রয়োজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

milk Weight Loss Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE