তাড়াহুড়োয় অনেক সময়ে সমান মনোযোগ দিয়ে রান্না করা হয় না। ছবি: সংগৃহীত
সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত খাবার খেয়েও দেখা দিতে পারে শারীরিক নানা সমস্যা। অন্তত এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরা। এর নেপথ্যে রয়েছে অবশ্য রান্নার পদ্ধতিগত কিছু ভুল। তাড়াহুড়োয় অনেক সময়ে সমান মনোযোগ দিয়ে রান্না করা হয় না। ছোটোখাটো কিছু ভুল হয়ে যায়। আর এই ভুলগুলিই ডেকে আনে বিপদ। সুস্থ থাকতে রান্না করার সময়ে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন?
রাতের খাবার সকালে রান্না করেন?
রান্না করার ৩ ঘণ্টা পর খাবার খেলে শরীরে এর প্রভাব পড়ে। গ্যাসের আঁচ, তেল, বিভিন্ন ধরনের মশলার সংস্পর্শে আসার পর খাবার তার পুষ্টির মাত্রা হারাতে শুরু করে। রান্নার পর অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর সেই খাবার মুখে দিলে ততটাও উপকার পাওয়া যায় না। এ জন্যই চিকিৎসকরা সব সময়ে বাসি খাবার খেতে বারণ করেন। খাওয়ার সময়ের ঠিক আগে রান্না করা ভাল, নয়তো হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে।
রান্নার পর ঢাকেন না খাবারের পাত্র?
কড়াই থেকে নামিয়ে গরম খাবার খোলা অবস্থায় রেখে দেন অনেকেই। মূলত খাবার ঠান্ডা করাই এর উদ্দেশ্য। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, রান্না করা খাবার বেশি ক্ষণ আলগা না রাখাই ভাল। বাতাসে নানা ধরনের ব্যাক্টেরিয়া ভেসে বেড়ায়। সেগুলি খাবারের সংস্পর্শে এসে খাবারের গুণমান নষ্ট করে দিতে পারে। তাই একেবারে খোলা না রেখে অন্তত পাতলা ফয়েল দিয়ে ঢেকে রাখুন।
মশলা দিন নিয়ম মেনে
রান্নায় মশলার ব্যবহার যেমন খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দিতে পারে, তেমনই রান্নায় মশলা ব্যবহারের পদ্ধতিগত কিছু ভুলেও ঘটতে পাকে স্বাস্থ্যহানি। এমন কিছু মশলা রয়েছে, যেগুলি হয়তো রান্নার শুরুতে না দিয়ে মাঝে দেওয়া ভাল। সেই বিষয়গুলিতে নজর রাখা প্রয়োজন। রান্নায় মশলা ভুল উপায়ে দেওয়া হলে রান্নার গুণমান নষ্ট হতে পারে। স্বাদও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
ফ্রিজ থেকে বার করেই রান্না নয়
মাছ, মাংস, সব্জি সতেজ রাখতে অনেকেই তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। ফ্রিজ থেকে বার করেই সেগুলি কড়াইতে দেবেন না। রান্না শুরু করার ঘণ্টাখানেক আগে বার করে ঘরের তাপমাত্রায় আসতে দিন। তার পর ভাল করে ধুয়ে রান্না বসান। ফ্রিজের ঠান্ডা তাপমাত্রায় ব্যাক্টেরিয়ার আনাগোনা চলতে থাকে। সেগুলি খাবারের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ফ্রিজ থেকে বার করেই রান্না করা একেবারে অস্বাস্থ্যকর।
রান্না করা খাবার বার বার গরম করেন কি?
এক বার রান্না করা খাবার বহু বার গরম করে খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সব্জি কিংবা মাংস— যে খাবারই হোক, একাধিক বার গরম করার ফলে খাবারের গুণমান নষ্ট হয়ে যায়। এই ধরনের খাবার থেকে শরীরে ক্যালোরি জমা হতে থাকে। গাজর, মাশরুম, পালংশাকের মতো পুষ্টিতে ভরপুর খাবার রান্না করার পর দ্বিতীয় বার গরম করা ঠিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy