পেটের মেদ ঝরাতে চাইলে কোন তেলগুলি খাওয়া অভ্যাস করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
ওজন ঝরাতে শরীরচর্চা, ডায়েটের কোনও বিকল্প নেই। তবে পেটের মেদ ঝরানো এত সহজ নয়। পরিশ্রম করেও পেটের মেদ সহজে কমতে চায় না। বরং মধ্যপ্রদেশ ক্রমশ স্ফীত হতে থাকে। পেটের মেদ কমাতে অনেকেই খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানেন। বাইরের খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেন। ভরসা রাখেন ঘরোয়া খাবারেই। অথচ বাড়িতে তৈরি খাবার খেয়েও উদরের মেদ কমতে চায় না। অবশ্য পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ঘরোয়া খাবার খেলেই বাড়তি মেদ কমে যাবে, এ আশা করা বৃথা। বাড়িতে কোন তেলে রান্না হচ্ছে, সেটাও একটা বিষয়। রান্নায় অনেকেই সর্ষের তেল ব্যবহার করেন। সাদা তেলেও রান্না হয় অনেক বাড়িতে। খাবারের স্বাদ বাড়লেও পেটের মেদ কমাতে এই ধরনের তেল খাওয়া বন্ধ করা জরুরি। পেটের মেদ ঝরাতে চাইলে কোন তেলগুলি খাওয়া অভ্যাস করবেন?
অলিভ অয়েল
হার্টের সমস্যা থাকলে অলিভ অয়েলে রান্না করা খাবার খেতে পারলে ভাল। অনেকে তা খানও। সেই সঙ্গে পেটের মেদ ঝরাতেও অলিভ অয়েলের উপর ভরসা রাখা যায়। অলিভ অয়েলে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
নারকেল তেল
স্ফীত উদর ছিপছিপে করে তুলতে নারকেল তেল খেতে পারেন। নারকেল তেলে রয়েছে ‘মিডিয়াম-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড’। এই ফ্যাটি অ্যাসিড দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমায়। সেই সঙ্গে শরীরে জমে থাকা বাড়তি ক্যালোরি দূর করতেও নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার।
অ্যাভোকাডো তেল
বহু স্বাস্থ্যকর উপাদান সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো তেল ভিতর থেকে যত্ন নেয় শরীরের। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং বিভিন্ন ভিটামিন এবং মিনারেলস সমৃদ্ধ এই তেল শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে পেটের মেদ কমানো যথেষ্ট সহজ হয়ে যায়।
তিসির তেল
দ্রুত ওজন ঝরাতে অনেকেই চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখেন তিসির বীজে। তিসির তেলও কিন্তু কম উপকারী নয়। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই তেলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখলেই পেটের মেদ ঝরতে শুরু করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy