জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ়ের নতুন সিজ়ন মুক্তি পেয়েছে। আরও একটি এপিসোড দেখার লোভে রাত জাগছেন অনেকেই। ফলে পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হচ্ছে। আর ঘুম ভাঙলেও আলস্য কাটানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ভাবে একটি বড় অংশের মানুষ সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ়ের মোহে শরীরের ক্ষতি করছেন।
আরও পড়ুন:
সমীক্ষা বলছে, রাত জেগে টিভি বা সিরিজ় দেখার ফলে এক জন মানুষের দৈনিক ঘুম ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত কমে যেতে পারে। কারণ রাত জাগলেও সকালে ব্যক্তিকে সময় মতোই ঘুম থেকে উঠতে হয়। আর এই ভাবে দীর্ঘ দিন চলতে থাকলে, একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকেদের পরামর্শ, রাতে ঘুমোতে দেরি হলে, পরের দিন সকালে অফিস বা ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। কারণ রাত জাগার ফলে মানুষের মস্তিষ্ক সকালেও ক্লান্ত থাকে। তার ফলে দেখা গিয়েছে, কাজের ক্ষতি হয়।
রাতে ভাল ঘুম হলে তা পরবর্তী দিনে স্মৃতিশক্তি ভাল রাখতে, দেহের এনার্জি অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। কিন্তু রাত জেগে মোবাইল বা ল্যাপটপে কনটেন্ট দেখার ফলাফল টের পাওয়া যায় পরের দিন।
একটানা অন্ধকার ঘরে মোবাইল বা অন্য কোনও পর্দায় কমটেন্ট দেখার সময়ে, পর্দা থেকে নির্গত নীল আলো চোখের পর চাপ সৃষ্টি করে। অনেক সময়ে কনটেন্ট দেখার পরেও অনেকের ঘুম আসে না।
কী করা উচিত
১) সপ্তাহের মাঝে ছোট আকারের কনটেন্ট (৩০ মিনিট) দেখা যেতে পারে। রাতে বড় সিরিজ় দেখতে হলেও সপ্তাহান্তে দেখা উচিত। ছুটি থাকার ফলে, পরের দিন দেরিতে ঘুম ভাঙলেও সমস্যা হয় না।
২) মোবাইল বা ওটিটি অ্যাপে টাইমার সেট করে রাখলেও সুবিধা হয়। তাতে রাতে স্ক্রিন টাইম বাড়বে না।
৩) রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বই পড়া বা গান শোনার অভ্যাস তৈরি করলে সহজেই ঘুম আসে। সে ক্ষেত্রে স্ক্রিন থেকে দূরে থাকা যায়।
৪) শোয়ার ঘরে টিভি বা ল্যাপটপ রাখা উচিত নয়। তা হলে রাত জেগে কনটেন্ট দেখার প্রবণতাও কমবে। মোবাইলের ক্ষেত্রে সেটিংস থেকে রাত ১০টার পর ওটিটি অ্যাপগুলিকে ব্লক করা যায়।
৫) রাতে কনটেন্ট দেখার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা উচিত। যেমন রাতের খাবার খাওয়ার সময়টুকু। সেই মতো সারা সপ্তাহে কত ঘণ্টা রাতে কনটেন্ট দেখা হচ্ছে, তার হিসেব লিখে রাখা উচিত। তা হলে একটা সম্যক ধারণা তৈরি হবে।