পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। ছবি- প্রতীকী
হার্টের অসুখ পুরুষেরই বেশি হয়— এমন ধারণা পোষণ করেন অনেকেই। তবে ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি তথ্য সামনে আনছে। সমীক্ষা বলছে, পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। দেখা গিয়েছে, পুরুষের হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ধরা পড়লে, তার চিকিৎসা যতটা ফলপ্রসূ হয়, মেয়েদের ক্ষেত্রে ততটা হয় না। কারণ, মহিলাদের ক্ষেত্রে রোগ ধরা পড়ে দেরিতে। অত্যধিক পরিশ্রম, শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি, অবসাদ, সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়ার মতো কয়েকটি কারণে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে হৃদ্রোগের আশঙ্কা।
এই কারণগুলিকেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার একমাত্র কারণ বলে মানতে নারাজ চিকিৎসকরা। এগুলি ছাড়াও ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, অত্যধিক ধূমপান করা, শরীরচর্চা না করা— এই কারণগুলি হৃদ্রোগের আশঙ্কা দ্বিগুণ হারে বাড়িয়ে তোলে। বাড়ি এবং অফিস— দুই-ই একা হাতে সামলান অনেকে। অতিরিক্ত চাপ জন্ম দেয় হৃদ্রোগের।
হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমাতে রোজের চলাফেরায় মহিলাদের কী কী বদল আনা জরুরি?
১) নিয়মিত শরীরচর্চা করা অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক কসরত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃদ্রোগের আশঙ্কাও কমায়। রোজের ব্যস্ততায় অনেকেই আলাদা করে শরীরচর্চা করার সময় পান না। তেমন হলে বেশি হাঁটাচলা করুন। অফিসে সব সময়ে বসে না থেকে, কাজের ফাঁকে বিরতি নিয়ে একটু হেঁটে নিন। লিফটের বদলে ব্যবহার করতে পারেন সিঁড়িও।
২) স্থূলতা কিন্তু হৃদ্রোগের অন্যতম কারণ। বাড়তি ওজন বাড়িয়ে তোলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা। হৃদ্রোগ ছাড়া আরও অনেক রোগের ঝুঁকি এড়াতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।
৩) মানসিক ভাবে সুস্থ থাকুন। মানসিক উদ্বেগ এবং অবসাদ হৃদ্যন্ত্রের জন্য মারাত্মক পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। ব্যস্ততা, কাজের চাপ থাকবে। তা নিয়ে বাড়তি চিন্তা সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই উদ্বেগমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
৪) স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। কী খাচ্ছেন তার চেয়েও গুরুত্পূর্ণ কখন খাচ্ছেন। খাওয়ার সময়টাও সমান কিন্তু সমান খেয়াল রাখা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy