চায়ে আদা মেশানোর চল বেশ পুরনো। কেউ আবার স্বাদ বাড়াতে লবঙ্গ, ছোট এলাচও তাতে যোগ করেন। মশলার গন্ধে ভুরভুর সেই চা পছন্দ করেন অনেকেই। মশলার গুণ শরীর ভাল রাখতেও সাহায্য করে। তাই বলে রসুনের চা?
মশলা হিসেবে হেঁশেলে রসুনের ব্যবহার। মাংস হোক বা গার্লিক ব্রেড—কয়েক কোয়া রসুন নিমেষে খাবারের স্বাদ-গন্ধ বাড়িয়ে দেয়। চায়ে রসুন শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, সামান্য কয়েক কোয়া রসুনই হতে পারে মরসুম বদলের সময় রোগবালাই দূরে রাখার মোক্ষম অস্ত্র।
রসুন চায়ের গুণপনা
আরও পড়ুন:
রোগ প্রতিরোধ: ২০১৬ সালে ‘দ্য জার্নাল অফ নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, রসুনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সর্দিকাশি কমাতে রসুন কার্যকর। এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল উপাদান। বসন্তে আবহাওয়ার বদল হয়, এই সময় নানা রকম রোগব্যাধিও বাড়ে। সে ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ হয়ে উঠতে পারে রসুন।
হজম: রসুনে সালফারের মতো যৌগ মেলে, যা হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অল্প ক্যালোরির রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, সেলেনিয়াম, ফাইবার।
হার্টের স্বাস্থ্য: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও রসুনের উপযোগিতা রয়েছে। ২০২০ সালে ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণার মেটা অ্যানালিসিস বলছে, রসুনে থাকা উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হার্টের রোগের ঝুঁকি ১৬-৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। ২০১৯ সালের একটি গবেষণা বলছে, রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামে একটি উপাদান রক্তচাপ বৃদ্ধির জন্য দায়ী অ্যাঞ্জিওটেনসিন ২ নামে হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কী ভাবে বানাবেন রসুন চা?
চা বলা হলেও এতে কিন্তু চা পাতার ব্যবহার হয় না। ২ কাপ ফুটন্ত জলে ৩-৪ কোয়া রসুন থেঁতো করে দিতে হবে। মিনিট দশেক আঁচ কমিয়ে তা ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। স্বাদের জন্য যোগ করতে পারেন চিনি।
সকালে খালিপেটে এক কাপ রসুন চা খেলে দূরে থাকবে রোগাবালাই, এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণে জৌলুস ফিরবে ত্বকেও। শরীর থেকে দূর হবে বিপাকক্রিয়ায় তৈরি হওয়া দূষিত পদার্থ বা টক্সিন।