পিতামহ বা প্রপিতামহের অল্পবয়সে ধূমপানের আসক্তি প্রভাব ফেলতে পারে তৃতীয় প্রজন্মের উপরও। ছবি সংগৃহীত
ধূমপান ক্যানসারের কারণ, এ কথা কারও অজানা নয়। এই অভ্যাসের কারণে শরীরে নানা ভাবে প্রভাব পড়ে, তা-ও যথেষ্ট চর্চিত। এ বার ধূমপানের প্রভাব সম্পর্কে আরও এক দাবি করলেন ব্রিটেনের গবেষকরা। জানালেন, পিতামহ বা প্রপিতামহের অল্পবয়সে ধূমপানের আসক্তি প্রভাব ফেলতে পারে তৃতীয় প্রজন্মের উপরও। পূর্ব পুরুষদের এই অভ্যাসের প্রভাব বিশেষ ভাবে নারীদের উপর পড়ে বলেও দাবি করা হয়েছে গবেষণায়।
‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ নামের এক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি। ওই গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, গবেষণা থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দু’টি তথ্য উঠে এসেছে। প্রথমত, বয়ঃসন্ধির আগে কেউ যদি ধূমপানে আসক্ত হন, তা হলে তার প্রভাব বহু প্রজন্ম পরেও থেকে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, অল্পবয়সি মেয়েদের মেদবৃদ্ধি পেলে সব সময়ে তার জন্য তাঁদের খাদ্যাভ্যাস বা শরীরচর্চার অভাবকেই দায়ী করা যায় না। বরং তার পূর্বপুরুষের খুব কম বয়সে ধূমপানের অভ্যাসের কারণেও তার শরীরে মেদ জমতে পারে বলে দাবি গবেষকদের। তবে এই গবেষণার দেখা গিয়েছে, এ ক্ষেত্রে দাদু কিংবা ঠাকুরদার অভ্যাসের কুপ্রভাব নাতনিদের উপরেই বেশি পড়ে।
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্রায় ১৪ হাজার ব্যক্তির উপরে এই গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষণায় ধরা পড়েছে, যে সকল মহিলার শরীরে অতিরিক্ত মেদ রয়েছে, তাঁদের অনেকের ঠাকুরদা ও প্রপিতামহ ১৩ বছর বা তারও আগে ধূমপান শুরু করেছিলেন। গবেষকদের দাবি, মধ্যবর্তী প্রজন্ম যদি ১৩ বছরের কম বয়সে নিয়মিত ধূমপান নাও করে থাকেন, তবু ফলাফল একই হয়।
ধূমপানের নানা প্রভাব নিয়ে বহু দিন ধরেই আলোচনা চলছে। তবে পরবর্তী প্রজন্মের কতটা ক্ষতি করতে পারে এই অভ্যাস, তা নিয়ে নতুন ভাবে চর্চার দিশা দেখাচ্ছে এই সমীক্ষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy