কোন ভুলে কমে যেতে পারে বিপাকহার? ছবি: শাটারস্টক।
শরীর চাঙ্গা রাখতে হলে বিপাকহারের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সময় মতো, সুষম খাবার খাওয়া, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন বিপাকহার বাড়িয়ে দিতে পারে। বিপাকহার ভাল হলে হজমশক্তি বাড়ে আর ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়াই অনেকে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা, খাওয়ার রুচি অনুযায়ী তালিকা বানিয়ে নেন। ডায়েট করা শুরু করে দেন সমাজমাধ্যমের উপর ভরসা করে। তবে সেই ডায়েট করে মনের মতো ফলাফল পান না অনেকেই। ডায়েট করার সময় আপনার অজান্তেই কিছু ভুল প্রভাব ফেলে শরীরের বিপাকহারের উপর। কোন কোন অভ্যাস আপনার বিপাকহারের উপর প্রভাব ফেলছে?
১) কম খাওয়া: অনেকের ধারণা, খাবার খাওয়ায় লাগাম টানলেই ওজন কমানো সহজ হবে। সেই লক্ষ্যপূরণে দিনের অর্ধেক খাবারই বাদ দিয়ে দেন। এতে আদৌ ভাল হয় কি? পুষ্টিবিদদের মতে, পরিমাণে কম খেলেই যে ওজন কমবে, এমন ধারণার কোনও ভিত্তিই নেই। বরং দিনের সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রায় খাবার না খেলে তার প্রভাব পড়বে বিপাকহারের উপর। ওজন তো কমবেই না, উল্টে বেড়ে যেতে পারে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা।
২) শরীরচর্চায় অনীহা: বিপাকহারের তারতম্যের একটি অন্যতম কারণ হল নিয়মিত শরীরচর্চা না করা। কাজের চাপে অনেকেই শরীরচর্চার সময় পান না। তার উপর অফিসে এক জায়গায় বসে বসে কাজের ফলে হাঁটাচলার অবসরও কম মেলে। এই অভ্যাসও কিন্তু বিপাকহার কমিয়ে দেয়।
৩) প্রোটিন কম খাওয়া: শরীর চাঙ্গা রাখতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজের মতো যৌগ প্রতি দিনই পাতে রাখতে পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, খাওয়ার তালিকা থেকে প্রোটিন বাদ দিলেই বোধহয় ওজন ঝরানো সহজ হবে। বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। এর ফলে বিপাকহারের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৪) ঘুম কম হওয়া: ঘুমের সঙ্গেও বিপাকহার সম্পর্ক রয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও বিপাকহারের উপর প্রভাব পড়ে। প্রতি দিন অন্তত পক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো ভীষণ জরুরি।
৫) কার্বোহাইড্রেট না খাওয়া: ওজন ঝরাতে গিয়ে খাওয়ার তালিকা থেকে হঠাৎই একেবারে ভাত-রুটি বাদ দিয়ে দিয়েছেন? এর ফলে কী হচ্ছে জানেন? দীর্ঘ দিনের এই অভ্যাসে বদল আসার কারণে বিপাকহার কমে যায়। ফলে হজম প্রক্রিয়ার উপরেও প্রভাব পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy