রাতে সব ফল খাওয়া যায় না। ছবি: সংগৃহীত।
ফিট থাকতে ফল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। ফল নিঃসন্দেহে শরীরের যত্ন নেয়। ওজন কমানোর ডায়েট হোক কিংবা কোনও শারীরিক অসুস্থতা— দ্রুত সেরে উঠতে ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ উভয়েই। রোজ সকালের জলখাবারের সঙ্গে যদি একটি করে ফল খেতে পারেন, তা হলে সত্যিই উপকার পাবেন। ফল খাওয়ার এমনিতে নির্দিষ্ট কোনও সময় নেই। তবে সকালের দিকে খেলে বাড়তি উপকার মেলে। তার মানে এই নয় যে রাতে ফল খাওয়া মানা। তবে রাতে সব ফল খাওয়া যায় না। কিছু ফল আছে যেগুলি রাতে খেলে মারাত্মক সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। কোন ফল রাতে খাবেন না?
কমলালেবু
কমলালেবুতে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। অনেকেরই কমলালেবু খেলে অম্বল হয়। জিভ টক টক হয়ে যায়। রাতে লেবু খেলে এই সমস্যাগুলি হওয়ার ঝুঁকি কয়েক শতাংশ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বুকজ্বালা, মাথা ঘোরার মতো সমস্যাও হয়। তাই রাতে কমলালেবু না খাওয়াই ভাল।
কলা
শরীরের জন্য কলা অত্যন্ত উপকারী হলেও রাতে এই ফল না খাওয়াই ভাল। কলা সহজপাচ্য নয়। হজম হতে সময় নেয়। ফলে পেটের গোলমাল হতে পারে। তা ছাড়া, রাতে কলা খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই রাতে কলা না খাওয়াই শ্রেয়।
পেয়ারা
ফাইবারে সমৃদ্ধ এই ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে রাতে পেয়ারা না খাওয়াই ভাল। পেয়ারায় ফাইবার থাকলেও কারও কারও এই ফল খেয়ে গ্যাস হয়। পেয়ারা খেয়ে অনেকের পেটও ফাঁপে। তাই দিনের বেলা হাঁটাচলার সময় পেয়ারা খাওয়া ভাল। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পেয়ারা খাওয়া ঠিক নয়।
আঙুর
সাইট্রাস জাতীয় ফলের মধ্যে অন্যতম হল আঙুর। এই ফলে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তা সত্ত্বেও আঙুর খেয়ে ঠান্ডা লাগে অনেকেরই। তাই রাতে আঙুর না খাওয়াই ভাল। তা ছাড়া, আঙুরে অ্যাসিড থাকায় রাতে খেলে অনেক সময়ে বুকজ্বালা করে।
তরমুজ
অনেকেরই প্রিয় ফল। সারা দিন মন ভরে তরমুজ খেতে পারেন। কিন্তু রাতের বেলা তরমুজ না খেলেই ভাল। তরমুজে চিনির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। রাতে তরমুজ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার একটা ঝুঁকি থাকে। ডায়াবিটিস থাকলে রাতে কখনও তরমুজ খাবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy