Advertisement
E-Paper

গ্যাস-অম্বলে বেশি ভোগে বাঙালি, বিপাকক্রিয়া উন্নত করার উপায় কী? কৌশল শেখালেন বিজ্ঞানীরা

বিপাকের গতি বাড়ানোর মূল কার্যকরী পন্থাগুলি হল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ভারী খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে জল খাওয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৫০
Harvard researchers suggest boosting metabolism with physical activity and a high-protein diet

গ্যাস-অম্বল, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা বেশি হচ্ছে কেন? ছবি: ফ্রিপিক।

শরীরে মেদ জমছে? অনেকেই বলবেন, বিপাকপ্রক্রিয়া বাড়াতে হবে। সুস্থ জীবনযাত্রার জন্য প্রয়োজন উন্নত বিপাকপ্রক্রিয়া। এটি এক ধরনের প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে শরীর খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করে। তাই খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসের উপর নির্ভর করছে দেহের বিপাকপ্রক্রিয়া কী রকম হবে। যদি বিপাকক্রিয়া ঠিকমতো না হয়, তা হলেই গন্ডগোল। তখন যে খাবার খাচ্ছেন তা ঠিকমতো পাচিত হতে না পেরে, পাকস্থলীতেই জমতে থাকবে। ফলে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়বে। বিপাকের হার কী ভাবে বাড়ানো যায়, সে নিয়ে টিপ্‌স দিয়েছেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা।

বিপাকের গতি বাড়ানোর মূল কার্যকরী পন্থাগুলি হল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ভারী খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে জল খাওয়া। গবেষকেরা বলছেন, খাবার খাওয়ার পরে তা লালারসের সঙ্গে মিশে পাকস্থলীতে যায়। সেখানে নানা রকম পাচকরসের সঙ্গে মিশে সেই খাবার পাচিত হতে শুরু করে। খাবার থেকে জরুরি ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজ উপাদান, ফাইবার ছেঁকে নেয় শরীর। তা থেকেই শক্তি তৈরি হয়। ঘুমোনোর সময়ে শরীর বিশ্রামে থাকলেও এই শক্তি সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সক্রিয় রাখে। কাজেই বিপাকের প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটলে, এক দিকে যেমন শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে না, তেমনই হরমোনের ক্ষরণেও তারতম্য হতে থাকবে।

কী করা উচিত?

হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, খাবার সব সময়ে মেপে খেতে হবে। পরিমিত আহারই বিপাকের হার বাড়াবে। পাকস্থলীর যতটুকু গ্রহণক্ষমতা, তার চেয়ে বেশি খেতে শুরু করলেই বদহজমের সমস্যা বাড়বে।

মেপে খাওয়া কেবল নয়, খাবার সময় নিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে, যাতে খাবারের কণাগুলি লালারসে মিশে পাকস্থলীতে পৌঁছোতে পারে।

এক এক জনের শরীরের গঠন, তার উচ্চতা, বয়স, লিঙ্গ ও তার কাজের ধরনের উপরে বেসাল মেটাবলিক রেট নির্ভরশীল। খাওয়াদাওয়ার পরে শরীরে যে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয় এবং যে ক্যালোরি ক্ষয় হয়, তাকে বলে বেসাল মেটাবলিক রেট। অনেক সময়ে আমরা এমন কিছু খাবার খাই, যাতে ক্যালরি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। আর এই ক্যালোরি যদি ‘বার্ন’ না করা হয়, তবে তা আমাদের শরীরে চর্বি হিসেবে জমতে থাকে। বাড়তে থাকে মেদ-সহ নানা শারীরিক সমস্যা। তাই বেসাল মেটাবলিক রেট ঠিক রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবারই পরিমিত খাওয়া উচিত। ডায়েটে রাখতে হবে প্রোটিন। চিকেন, গ্রিক ইয়োগার্ট, মাছ, বিন্‌স, চিয়া বীজ, সয়াবিন, চিজ় পরিমিত খেলে প্রোটিনের চাহিদা মিটবে।

তবে শুধু মেদ নয়, খাদ্যাভ্যাস ঠিক না রাখলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে আরও নানা রোগ, যাকে বলে ‘মেটাবলিক সিনড্রোম’। এতে ধীরে ধীরে রক্তে বাড়তে থাকে শর্করা, ইউরিক অ্যাসিড, দেখা দিতে পারে হাইপারটেনশন, উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা। এর পরেও বাড়তে থাকে হার্ট ও কিডনির সমস্যা। এর জন্য নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করা জরুরি। হাঁটাহাঁটি, জগিং, সাইক্লিং, সাঁতার নিয়ম মেনে করা উচিত।

Metabolism Healthy Diet Health Tips healthy food Acidity Problem
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy