কোন ‘ম্যাজিক ড্রিঙ্ক’কে ঝরবে ওজন? ছবি: শাটারস্টক।
সকালে অফিসে বেরনোর তাড়াহুড়োয় কেউ না খেয়ে কেউ আবার ইনস্ট্যান্ট ম্যাগি কিংবা পাস্তা খেয়েই বেরিয়ে পড়েন। শরীরের আনাচে-কানাচে মেদ জমার জন্য এই অভ্যাস অনেকখানি দায়ী। অথচ তা়ড়াহুড়োর মাঝে এক গ্লাস ছাতুর শরবত খেয়ে নিলেই কিন্তু হতে পারে মুশকিল আসান। ছাতুতে প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট ভাল মাত্রায় থাকে। উপকারী খনিজও থাকে বেশ ভাল পরিমাণে। ১০০ গ্রাম মাছে যেখানে ১৫ থেকে ২০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়, সেখানে ১০০ গ্রাম ছাতুতে থাকে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম প্রোটিন। কেন রোজের ডায়েটে ছাতু রাখবেন, রইল হদিস।
হজম ভাল হয়: ছাতুতে ফাইবারের মাত্রা বেশি, তাই ছাতু হজমের জন্য খুবই ভাল। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের অন্য নানা সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হলে ছাতুতে ভরসা রাখতে পারেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে: ওজন ঝরানোর চেষ্টায় থাকলে রোজের ডায়েটে ছাতু রাখতেই পারেন। ছাতুতে ফাইবার থাকে বলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরা থাকে। তাই ভাজাভুজি কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে সহজেই দূরে থাকা যায়।
কোলেস্টেরল কমায়: কোলেস্টেরলের রোগীদের অনেক কিছু খাওয়া মানা। তবে তাঁরাও কিন্তু নিশ্চিন্তে ছাতু খেতে পারেন। ফাইবারের কারণেই ছাতু কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়: ছাতুতে ভরপুর মাত্রায় উদ্ভিজ্জ প্রোটিন থাকে। একই সঙ্গে এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মান খুব বেশি হয় না। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ছাতু খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
চটজলদি শক্তি যোগায়: অফিসে কাজের মাঝেই হোক কিংবা বাড়িতে, খিদে পেলে শরীর যেন ঝিমিয়ে পড়ে। তখন ভাজাভুজি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। খিদে পেলে এক গ্লাস ছাতুর শরবত কিংবা ছাতু মাখা খেতে পারেন। চটজলদি শরীর চাঙ্গা হবে, অনেক ক্ষণ পেট ভরাটও থাকবে আর ভুলভাল খাওয়ার ইচ্ছেও কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy