মিষ্টির প্রতি প্রেম, আবার মিষ্টি নিয়েই আতঙ্ক। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে জীবন থেকে মিষ্টি বাদ দিয়ে দিয়েছেন অনেকে। শুভ মুহূর্তে মিষ্টিমুখ করতে হলে অল্প ভেঙে নিয়মরক্ষা করেন। কিন্তু তাতে কি আর মন ভরে? বরং মনের মধ্যে মিষ্টির লোভ বাড়তেই থাকে। তা হলে কী করণীয়? কী ভাবে মিষ্টি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে?
বলিউডের তারকা করিনা কপূরের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর ঘিয়ের মতোই মিষ্টির বিষয়েও সাহসী হতে বলেছেন। তাঁর মতে, মিষ্টিকে শত্রু ভেবে বসলে মুশকিল। মেপে খেলে মিষ্টির জন্য কখনওই ওজন বাড়ে না। পুষ্টিবিদের কথায়, ‘‘এমন যদি হয়, কেউ অবসাদে ভুগছেন, এবং সে সময়ে মিষ্টি খেয়েই তিনি ভাল থাকছেন, তবে তাতে স্বাস্থ্যে খারাপ প্রভাব পড়বে, ওজনও বাড়বে। কিন্তু যদি আনন্দের মুহূর্ত উদ্যাপন করার জন্য খান, তা হলে তাতে কোনও ক্ষতি নেই।’’
ক্যালোরি গুনে গুনে খাওয়ার অভ্যাস ভাল নয়। ছবি: সংগৃহীত।
রুজুতার মতামত থেকে স্পষ্ট, পরিমাপই মূলমন্ত্র। মন ভাল রাখতে একের পর এক মিষ্টি খেয়ে গেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু জন্মদিনের অনুষ্ঠানে, বিয়েবাড়িতে, বা এমনই কোনও উপলক্ষে মিষ্টিমুখ করলেই ক্যালোরি বেড়ে যাবে, এমন ভাবনা সত্যি নয়।
রুজুতা ঐতিহ্য মেনে চলার পরামর্শ দেন সর্বদা। ডায়েট মিষ্টি বা সুগার-ফ্রি মিষ্টি, অথবা মিলেটের কেক, ইত্যাদি খাবার তিনি ছুঁয়েও দেখেন না। মিষ্টি খাওয়ার সময় এমন মিষ্টিই খান, যেটিতে ময়দা, ফ্যাট এবং চিনির বিষয়ে কার্পণ্য করেননি প্রস্তুতকর্তা। আপনিও তাঁর কথা মেনে বাংলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিগুলি কালেভদ্রে খেতেই পারেন। কিন্তু মেপে খেতে হবে অবশ্যই।
পুষ্টিবিদের মতে, ক্যালোরি গুনে গুনে খাওয়ার অভ্যাস ভাল নয়। তাতে খাবারের রসাস্বাদন হয় না। আনন্দ চলে গেলে পাতে থাকা খাবারগুলির স্বাদ কমে যেতে থাকে। দুধ খেলেও পুরো ফ্যাট সমেত দুধ খাওয়া ভাল। ডিম খেলেও কুসুম সমেত খাওয়া উচিত। কিছু বাদ দিলে মনের মধ্যে অস্বস্তি চলতে থাকে। তাতে মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায় না।