Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Type 1 Diabetes

Diabetes Diet: ডায়াবিটিস আছে? পুজোর আগে ওজন ঝরাতে উপোস করা উচিত কি?

চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং অনেকেই ভরসা রাখছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এর উপর। ডায়াবিটিস থাকলে কি এই ডায়েট করা যায়?

খালি পেটে থাকা ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য কতটা ক্ষতিকর?

খালি পেটে থাকা ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য কতটা ক্ষতিকর?

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২২ ১০:২২
Share: Save:

বাড়তি মেদ ঝরানোর জন্য কেবল শরীরচর্চা করলেই চলবে না। তার সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসেও রাশ টানা ভীষণ জরুরি। চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং অনেকেই ভরসা রাখছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এর উপর। এই ডায়েটে খাবারের ক্ষেত্রে তেমন কড়া বিধি-নিষেধ থাকে না। তবে এ ক্ষেত্রে দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যেই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। আর বাকি সময়, অর্থাৎ, ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করেই কাটাতে হয়। এই খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়। শরীরও ভাল থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকের হার ঠিক থাকে। এতে শরীরে ক্যালোরির প্রবেশ কম হয়। ফলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। তবে যাঁদের ডায়াবিটিস আছে, তাঁদের জন্য কি এই ডায়েট স্বাস্থ্যকর?

যাঁদের ডায়াবিটিস নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ডায়েট রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এই ডায়েট আদৌ কার্যকর কি না, তা নিয়ে মতভেদ আছে। ডায়াবিটিস-আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাঁরা নিয়মিত ওষুধ খান কিংবা ইনসুলিন নেন, তাঁরা যদি খাওয়ার পরিমাণ আচমকা কমিয়ে দেন, তা হলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ অনেক কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এটি হাইপোগ্লাইসিমিয়ার লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে রোগীর হৃদ্স্পন্দন বেড়ে যায়, ঘাম হয়, ঝিমুনি আসে এবং দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

কেন ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য এই ডায়েট ভাল নয়?

১) ডায়াবিটিস রোগীদের খুব বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকা মোটেই উচিত নয়। তাতে রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি বেড়ে যেতে পারে। এটি হাইপারগ্লাইসিমিয়ার লক্ষণ। দীর্ঘ দিন এমন হতে থাকলে স্নায়ু, কিডনির উপর খারাপ প্রভাব পড়ে।

২) এই ডায়েটে অনেক ক্ষণ খালি পেটে থাকতে হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকলে কার্বহাইড্রেট খাবারের প্রতি আসক্তি বেড়ে যায়। তাই বেশি মাত্রায় কার্বহাইড্রেট-যুক্ত খাবার আমরা খেয়ে ফেলি। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৩) এই ডায়েট সঠিক ভাবে মেনে চললে ওজন ঝরানো সম্ভব। তবে সেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই ব্যর্থ হন। ফলে আবার ওজন বেড়ে যায়। ওজন বাড়লে ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও বাড়বে।

৪) ডায়াবিটিসের রোগীদের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ খাওয়া এবং ইনসুলিন নেওয়ার ব্যাপার থাকে। ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করলে সেই সময়ের হেরফের করতে হয়। যা মোটেই ডায়াবিটিসের রোগীর পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE