ওজন ঝরাতে রাতে মোবাইল থেকে দূরে থাকুন। ছবি: সংগৃহীত।
রাতে খাওয়াদাওয়া শেষ করতেই ১১টা বেজে যায়। তার পর চলে ঘণ্টা দুয়েক ওয়েব সিরিজ় দেখার পর্ব। সেখানেই শেষ নয়, তার পর চলে ইনস্টাগ্রাম কিংবা ফেসবুকে ঘাঁটাঘাঁটি। ঘড়ির কাটা ২টো পেরিয়ে ৩টে হলেও চোখে ঘুমের নামমাত্র নেই। এই ঘটনা এক দিনের নয়, রাতের পর রাত এ ভাবেই কাটছে। সকালে আবার অফিসের ঠেলায় তাড়াতাড়ি উঠে পড়া। এই অভ্যাস শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছে। ইতিমধ্যেই শরীরে বাসা বাঁধা শুরু করে দিয়েছে একাধিক রোগ। জেনে নিন, চিকিৎসকেরা কেন রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার পরামর্শ দেন।
মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের ঘুম অনিয়মিত ও যাঁদের পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুর হার, যাঁরা নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমান তাঁদের তুলনায় বেশি। ঘুমের অভাবে সংবহনতন্ত্রের রোগ হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
স্মৃতিশক্তি কমে যায়
অনিদ্রা আর মানসিক অবসাদ পরস্পর এতটাই নিবিড় সম্পর্কযুক্ত যে, একটি আক্রান্তকে অন্যটির দিকে টেনে নিয়ে যায়। অবসাদের লক্ষণগুলি রোগীর ঘুমিয়ে পড়ার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে। আর মানসিক অবসাদে ভুগলে স্মৃতিশক্তির উপরেও প্রভাব পড়ে।
যৌন ইচ্ছা কমে যায়
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বা সঠিক সময়ে ঘুমাতে না যাওয়ার ফলে যৌন জীবনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষত পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, যাঁরা দেরি করে শুতে যান ও পর্যাপ্ত ঘুম থেকে বঞ্চিত হন তাঁদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কম থাকে, যা কমিয়ে দেয় যৌন মিলনের ইচ্ছা। এ ছাড়া ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলে ক্লান্তিও আসে, তাই মিলনের ইচ্ছে কমে যায়।
ওজন বেড়ে যায়: রাতে ঠিকঠাক ঘুম না হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, খিদেও বাড়ে। কম ঘুমোলে বিপাপক্রিয়া ও পাচনক্রিয়ার উপরেও প্রভাব পড়ে। এই সমস্যা শেষমেশ ওবিসিটি ডেকে আনে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
অনিদ্রার সমস্যা শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া শরীরে বাসা বাঁধলে শরীর তাদের সঙ্গে লড়াই করতে পারে না। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে শরীরের অ্যান্টিবডি উৎপাদন ক্ষমতাও কমে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy