ভারী খাওয়াদাওয়া করেই ঘরে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লেন! এ দিকে, চোখ বোজার কিছু ক্ষণ পরেই শুরু হল অস্বস্তি। আইঢাই ভাব। কী করবেন বুঝতে না পেরে জল খেলেন। তাতে অম্বল তো কমলই না, উল্টে গলা-বুক জ্বালা আরও বেড়ে গেল। চোঁয়া ঢেকুরের অত্যাচার শুরু হল! ‘জিইআরডি’ অর্থাৎ, ‘গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজ়িজ়’ থাকলে এই ধরনের সমস্যা হয়। লিভারের অসুখ আগে থেকে থাকলেও ঘন ঘন অম্বল ভোগায়। যদি অম্বল, গ্যাসের সমস্যা ওষুধ না খেয়েই কমিয়ে ফেলতে হয়, তা হলে রোজ সকালে খালি পেটে খেতে হবে একটি বিশেষ পানীয়।
অম্বল কমাতে কোন পানীয়টি খাবেন?
গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা বেশি হলে খালি পেটে লেবু-মধুর রস অনেকেরই সহ্য হয় না। লেবুর অ্যাসিড কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তার বদলে ঈষদুষ্ণ জলে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেলে উপকার বেশি হবে। ঘিয়ে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে। ঘি খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে পারে। ঘিয়ের প্রদাহনাশক গুণও আছে। ঘি-তে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যা অন্ত্রের জন্যও ভাল। তবে জলে শুধু ঘি মিশিয়ে খেলে হবে না। তার সঙ্গে মেশাতে হবে আরও দু’টি উপকরণ— হলুদ ও গোটা গোলমরিচ।
আরও পড়ুন:
ঘি মেশানো জল এমনিতেই ডিটক্স পানীয়ের মতো কাজ করবে যা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে, শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ দূর করবে। এর সঙ্গে হলুদ মিশলে তার কারকিউমিন যৌগ লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখবে। কারকিউমিন এমন এক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা সংক্রামক অসুখবিসুখ থেকে যেমন বাঁচায়, তেমনই অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। কারকিউমিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। হার্টের জন্যও ভাল। গোলমরিচের উপাদান পিপেরিন কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং পেট ফাঁপার মতো সমস্যা কমায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়িয়ে তোলে। গোলমরিচ খেলে গ্যাস্ট্রিক আলসার ও পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও কমবে। ঈষদুষ্ণ জলে ঘি, হলুদ ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা কমে যাবে।