Advertisement
E-Paper

অ্যাভোকাডো নয়, দেশি ঘি পছন্দ, হালের ডায়েট মানেন না রকুলপ্রীত, খেয়েদেয়ে রোগা থাকার উপায় বললেন

সৌন্দর্য ধরে রাখতেই নায়িকারা আর পাঁচ জনের মতো যখন-তখন পছন্দের খাবার খেতে পারেন না। জীবন থেকে বাদ যায় অনেক কিছুই। সেই চেনা ছকে নিজেকে ফেলেননি রকুলপ্রীত সিংহ। কী খান তিনি?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:৫৩
Rakul Preet Singh says she loves to eat in traditional ways, what is her food habit

খেয়েদেয়েই রোগা থাকা যায়, পরামর্শ দিলেন রকুলপ্রীত। ছবি: সংগৃহীত।

তন্বী, সুন্দরী রকুলপ্রীত সিংহকে নিয়ে ভালই চর্চা হয় টিনসেল টাউনে। অভিনেত্রীর সৌন্দর্যের অনুরাগী কম নেই। জিমে যাওয়া, জাঙ্ক ফুড না খাওয়া, ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া করা, সব নিয়ম মেনে চলেন অভিনেত্রী। ফিটনেস নিয়ে পরামর্শও দেন মাঝেমধ্যেই। এমন ছিপছিপে চেহারা ধরে রাখতে রকুলপ্রীত নিয়ম মানেন ঠিকই, তবে হালফিলের কড়া ডায়েট তাঁর না পসন্দ। সৌন্দর্য ধরে রাখতেই নায়িকারা আর পাঁচজনের মতো যখন-তখন পছন্দের খাবার খেতে পারেন না। জীবন থেকে বাদ যায় অনেক কিছুই। সেই চেনা ছকে নিজেকে ফেলেননি রকুলপ্রীত। বরং তাঁর ভরসা পুরনো পদ্ধতিতেই। বাড়ির বড়রা যে ভাবে খাওয়াদাওয়া করতেন এক সময়ে, ঠিক সে নিয়মই মানেন অভিনেত্রী।

অ্যাভোকাডো খেলেই বিশাল পুষ্টি হবে, এমন কোনও কথা নেই, সাফ জবাব রকুলপ্রীতের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছেন, হালফিলের যে ডায়েট নিয়ে এত চর্চা হয়, তার পথ বহু আগেই দেখিয়েছে আগেকার প্রজন্ম। অ্য়াভোকাডো খাওয়া হয় এমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের জন্য। সেই একই গুণ রয়েছে দেশি ঘিয়ের মধ্যেও। কিন্তু ঘি শুনলেই চোখ কপালে তোলেন স্বাস্থ্য সচেতনেরা। অথচ ঘি যদি পরিমাণ মেনে খাওয়া যায়, তার পুষ্টিগুণ অনেকটাই। অ্যাভোকাডো, কিউই-র মতো ফল সহজলভ্য নয় এ দেশে, দামও বেশি। রকুলপ্রীতের পরামর্শ, এ সবের পিছনে না ছুটে বরং এখানে যা যা খাবার পাওয়া যায়, তার উপরেই ভরসা রাখা উচিত।

দেশি খাবারেই বেশি রুচি রকুলপ্রীতের।

দেশি খাবারেই বেশি রুচি রকুলপ্রীতের। ছবি: সংগৃহীত।

ঠিক কী ধরনের খাবার পছন্দ করেন রকুলপ্রীত? দেশি খাবারই পছন্দ তাঁর। অ্যাভোকাডো টোস্ট, বাহারি স্যুপের বদলে বাড়িতে বানানো ভাত, ডাল, রুটি ও সব্জিই পছন্দ করেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এ দেশের আবহাওয়া যেমন, সে অনুযায়ীই ডায়েট ঠিক করা ভাল। শুধু ফলমূল বা প্রোটিন যেমন মাছ, মাংস, ডিম খেয়ে থাকাটা এখানকার অভ্যাস নয়। তার চেয়ে ডাল, ভাত, রুটি ও সব্জিতেই ভরপুর প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও খনিজ উপাদান একসঙ্গেই পাওয়া যায়। একেই বলে সুষম ডায়েট যা মেদও ঝরায় এবং শরীরে শক্তিরও জোগান দেয়। ‘টারমারিক লাটে’ নিয়ে এখন খুব চর্চা হয়। এটি আসলে ‘হলদি দুধ’, যা মা-ঠাকুরমারা খাওয়াতেন। নানা রকম ভেষজ চায়ের বদলে মুলেঠি শতগুণে ভাল। এতেও উপকার হয় একই রকম।

কিছু দিন আগেই দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস) ভারতীয়দের মতো করে মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট বা ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েটের তালিকা তৈরি করেছিল। ভূমধ্যসাগরের আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা এমন ডায়েট মেনে চলেন, যাতে তাঁদের ওজন বাড়ে না, শরীর সুস্থ থাকে এবং বার্ধক্যও আসে দেরিতে। সেই ডায়েট পুরোপুরি উদ্ভিজ্জ খাবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উপরেই নির্ভরশীল। তবে তাঁরা যে সব শাকসব্জি বা ফল খান, তা এ দেশে সহজলভ্য নয়। কারণ এ দেশের জলবায়ুতে তেমন সব্জি ও ফল ফলেই না। তাই ভারতীয় মেডিটেরেনিয়ান ডায়েটে এমন সব্জি বা শস্য রাখা হয়েছে, যা সকলেই কিনে খেতে পারেন। যেমন কিনোয়া, ফারোর মতো খাবারের বদলে ডালিয়া, ব্রাউন রাইস, জোয়ার, বাজরা বা রাগি খাওয়া যেতে পারে। থাইম, রোজ়মেরিরর বদলে জিরে, জোয়ান, জায়ফল ও জয়িত্রী উপকারী। দেশি ঘি-তে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। এই ঘি ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে-তে সমৃদ্ধ। যত বেশি পুরনো হয়, ততই ঘি-তে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ে। পাশাপাশি, এর প্রদাহনাশক গুণও বাড়ে। তখন সেই ঘি খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে পারে।

Rakul Preet Singh Healthy Diet Diet Tips Weight Loss
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy