কোলেস্টেরল কমবে কোন শুকনো ফলে? ছবি: শাটারস্টক।
পুষ্টিগুণে ভরপুর, আয়রনে সমৃদ্ধ খেজুরকে যদি প্রতি দিন ডায়েটে রাখা যায়, তা হলে অসুখবিসুখের সঙ্গে লড়াই যেমন সহজ হয়, তেমনই ওবেসিটির সমস্যা থেকেও রেহাই মেলে। প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ০.০৯ গ্রাম আয়রন থাকে। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই এই খেজুর থেকে পাওয়া যায়। শীতে ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি লেগেই থাকে। খেজুরের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম আছে। ফাইবারের জোগানও যথেষ্ট। তাই এই ফল ডায়েটে রাখতে পারলে শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি সহজেই মেলে। জেনে নিন প্রতি দিন ডায়েটে এই ফল রাখার কথা কেন বার বার বলেন পুষ্টিবিদেরা।
১) রক্তাল্পতা দূর করতে খেজুর দারুণ উপকারী।
২) ল্যাক্সাটিভ হিসেবে খেজুর ব্যবহার করতে পারেন। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এ ছাড়াও বদহজম, অ্যাসিডিটি এমনক পাকস্থলিতে আলসার হলেও উপশম মেলে খেজুর খেলে।
৩) রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমায়। এ ছাড়া হৃদ্ন্ত্রের পেশির সক্রিয়তা বাড়িয়ে তোলে খেজুর। হার্ট ভাল রাখতে রোজের ডায়েটে খেজুর রাখতে পারেন।
৪) উচ্চ মাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকার কারণে শরীরে জলের ভারসাম্য রক্ষা করে খেজুর। স্নায়বিক দৌর্বল্যের সমস্যা কাটাতে খেজুরের জুড়ি মেলা ভার। অনিদ্রার সমস্যা দূর করতেও খেজুরের জুড়ি মেলা ভার।
৫) পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, তামা, ভিটামিন-কে, এসেনসিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় নিয়মিত খেজুর খেলে বোন মেটাবলিজম ঠিক থাকে। অস্টিওপোরোসিসের আশঙ্কা কমে।
৬) জৈব সালফার থাকার কারণে বিভিন্ন ভাইরাল, ফাঙ্গাল, ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণ দূর করে খেজুর। বিভিন্ন ফুসফুসের সংক্রমণও মোকাবিলা করতে সাহায্য করে খেজুর। শীতকালে রোগবালাইয়ের হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।
৭) খেজুর শুক্রাণু সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ছেলেদের যৌন অক্ষমতার সমস্যা কাটাতে সাহায্য করে খেজুর।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও ক্রনিক রোগ থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy