শীতে বেশি কাঠবাদাম খেলে কী হয়? ছবি: সংগৃহীত।
সব ধরনের ড্রাই ফ্রুট এমনিতে স্বাস্থ্যকর। তবে স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে কাঠবাদাম অনেকটাই এগিয়ে। তাই অন্যান্য ড্রাই ফ্রুটের চেয়ে কাঠবাদাম খাওয়ার প্রবণতা বেশি। অনেকেই নিয়ম করে কাঠবাদাম খান। ওজন কমাতে অনেকেই ভরসা রাখেন কাঠবাদামে। এমনিতে সারা বছরই কাঠবাদাম শরীরের যত্ন নেয়। শীতকালীন রোগবালাই থেকে দূরে থাকতেও কাঠবাদাম অন্যতম বিকল্প। তবে শীতে কাঠবাদাম খাওয়ায় খানিকটা রাশ টানা জরুরি। কাঠবাদাম সব সময় অল্প খাওয়া উচিত। বিশেষ করে শীতে। দুটোর বদলে প্রতি দিন চারটি করে কাঠবাদাম খেলে শীতে বেশি সুফল পাওয়া যাবে, এই ধারণা ভুল। শীতকালে প্রয়োজনের অধিক কাঠবাদাম খেলে কী হতে পারে?
ওজন বেড়ে যাওয়া
কাঠবাদাম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে বেশি খেলে ওজন বেড়েও যেতে পারে। এমনিতে শীতকালে শরীরচর্চার অভাব ঘটে। তার উপর অত্যধিক কাঠবাদাম খেলে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়তে থাকে। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
হজমের গোলমাল
কাঠবাদামে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার। যা হজমের গোলমাল কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু ফাইবার থাকা সত্ত্বেও বেশি কাঠবাদাম খেলে পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে। শীতে গ্যাস-অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সূত্রপাত এখান থেকেই হতে পারে।
অ্যালার্জির সমস্যা
শীতকালে অত্যধিক কাঠবাদাম খেয়ে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। কাঠবাদাম খেলে অ্যালার্জির সমস্যা সাধারণত হয় না। তবে আগে থেকেই অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকলে শীতে কাঠবাদাম খাওয়ায় রাশ টানা জরুরি।
ভিটামিন ই-এর পরিমাণ বাড়ে শরীরে
কাঠবাদাম হল ভিটামিন ই-এর সমৃদ্ধ উৎস। কাঠবাদামে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ভিটামিন ই শরীরের খেয়াল রাখে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ভিটামিন ই শরীরে গেলে ডায়রিয়া, বমি, মাথাঘোরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ে
কাঠবাদামে রয়েছে অক্সালেট। এই উপাদা কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তাই শীতকালে কাঠবাদাম যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। কিডনিতে পাথর ছাড়াও অক্সালেট কিডনি সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy