মদ্যপান স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পারিবারিক জীবনও ধ্বংস করে দিতে পারে। সময় থাকতেই বুঝতে পেরেছিলেন ৮৭ বছর বয়সি হলিউড অভিনেতা অ্যান্টনি হপকিন্স। ৫০ বছর আগে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি রাত তাঁর জীবন বদলে দেয় এবং অ্যান্টনি মদ্যপান ত্যাগ করেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ‘দ্য সাইলেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস’ খ্যাত অভিনেতা তাঁর মদ্যপান প্রসঙ্গে অজানা তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন।
আরও পড়ুন:
একটা সময়ে অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপান করতেন অ্যান্টনি। তিনি বলেন, ‘‘মদ্যপান করার পর নিজেকে খুব বড় মনে হত। নিজেকে জীবন্ত মনে হত।’’ কিন্তু নিজের ভুলও এক সময়ে তিনি বুঝতে পারেন। অভিনেতা স্মৃতি হাতড়ে বলেন, ‘‘একদিন রাতে অন্ধের মতো গাড়ি চালাচ্ছিলাম। এতটাই মদ্যপ ছিলাম যে, কিছুই মাথায় ঢুকছিল না।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তার পর মনের ভিতর থেকে কেউ একটা যেন বলল, আমার থামা উচিত এবং সুস্থ জীবনযাপন করা উচিত।’’ কিন্তু মদ্যপান ত্যাগের জন্য কোনও নেশামুক্তি কেন্দ্র বা কোনও চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হয়নি অ্যান্টনিকে। নিজের ইচ্ছাশক্তির বলেই তিনি নেশা ত্যাগ করেছিলেন।
২০২৪ সালে ভারতে ‘এক্সটেন্ট অ্যান্ড প্যাটার্ন অফ সাবসস্ট্যান্স ইউজ়’-এর জাতীয় সমীক্ষা বলছে, দেশের ১০ থেকে ৭৫ বয়সিদের মধ্যে প্রায় ১৪.৬ শতাংশ মানুষ মদ্যপান করেন। তার মধ্যে ১৮.৫ শতাংশ মানুষ মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানে আসক্ত।
মদ্যপান ত্যাগ করতে হলে
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কেউ মদ্যপান ত্যাগ করতে চাইলে আগে থেকে ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ যাঁরা আসক্ত, কোনও একদিন হঠাৎ করে মদ্যপান ত্যাগ করলে তাঁরা ‘উইথড্রয়াল সিনড্রোম’-এ আক্রান্ত হতে পারেন। তার ফলে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে। নিজে থেকে যাঁরা মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাঁরা মদ্যপানের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে পারেন। মদ্যপানের সুযোগ উপস্থিত হলে বিকল্প কোনও পানীয়ের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। অনেক সময়ে মনোবিদের সঙ্গে পরামর্শ করলেও উপকার পাওয়া সম্ভব।