গরমে কোলেস্টেরল নিয়ে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে বলেন চিকিৎসকরা। প্রতীকী ছবি।
শীতে বাড়ে শর্করার মাত্রা। কিন্তু গরমে কোলেস্টেরলের রোগীদের সতর্ক থাকা জরুরি। গ্রীষ্মের পারদ যত চড়তে থাকে, কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ে তেমনই। গরমে এমনিতে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। আর্দ্রতার অভাবে নানা রকম শারীরিক সমস্যা বাসা বাঁধে নতুন করে। সেই সঙ্গে পুরনো কিছু রোগও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কোলেস্টরল তার মধ্যে অন্যতম। গরমে কোলেস্টেরল নিয়ে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে বলেন চিকিৎসকরা। পরিমাণে অল্প খেলেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে, এমন কোনও খাবার খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। বরং পাতে এমন কিছু রাখার কথা বলেন, যেগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। গ্রীষ্মের কোন সব্জিগুলি পাতে রাখবেন?
ঢ্যাঁড়শ
নাম শুনে বিরক্তি এলেও ঢ্যাঁড়শের মতো উপকারী সব্জি খুব কমই রয়েছে। উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এই সব্জির জুড়ি মেলা ভার। ভিটামিন সি, বি ১২, বি ২ এবং এ, নানা উপকারী উপাদান সমৃদ্ধ ঢ্যাঁড়শ কোলেস্টেরল রোগীদের গরমে নিয়ম করে খাওয়া জরুরি। এমনকি, ওজন কমাতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও ঢ্যাঁড়শ উপকারী।
তরমুজ
গরমে তরমুজ শুধু স্বস্তিই দেয় না, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। এই ফলে থাকা লাইকোপেন কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে দেয় না। হাতের মুঠোয় রাখে কোলেস্টেরলের সমস্যা। রোজ এক গ্লাস করে তরমুজের শরবত খেলে ঠান্ডা থাকবে শরীর। নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল। তবে সকালে অথবা রাতে না খেয়ে, দুপুরের দিকে তরমুজ খাওয়া সবচেয়ে ভাল।
শসা
গ্রীষ্মে সুস্থ থাকার আরও একটি উপায় হল শসা। এই ফলে জলের পরিমাণ বেশি। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে শসা খুবই উপকারী একটি ফল। শসায় রয়েছে ‘ফাইটোস্টেরলস’ নামক উপাদান, যা উচ্চ কোলেস্টেরলের সঙ্গে লড়াই করে। এ ছাড়াও শসায় ফাইবার রয়েছে ভরপুর পরিমাণ। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy