চুম্বনেই চমৎকার। ছবি: সংগৃহীত।
রাত পোহালেই ভালবাসার দিন। তার ঠিক আগের দিনটি চুম্বন দিবস হিসাবে পরিচিত। প্রেমের সম্পর্কে ঠোঁটে ঠোঁটে ব্যারিকেড রাখা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। শুধু কী তাই, যে কোনও প্রিয় জনের সঙ্গে ভাব-ভালবাসার সবচেয়ে সুন্দর উপায় হল চুম্বন, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। আধুনিক গবেষণা কিন্তু বলছে, চুম্বন যে শুধু প্রেমকে মধুময় করে তাই-ই নয়, স্বাস্থ্যের পক্ষেও দারুণ উপকারী প্রিয়জনকে চুম্বনের অভ্যাস। নিয়ম করে শরীরচর্চার পাশাপাশি রোজ চুমু খেলেও স্বাস্থ্য থাকবে ঝরঝরে। মনেও থাকবে আনন্দ। জীবনে আসবে উদ্যম। জেনে নিন, কী ভাবে স্বাস্থ্যের যত্ন নেয় চুম্বন।
১) চুম্বনরত অবস্থায় মস্তিষ্কে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। কর্টিসল ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামেও পরিচিত। পরিবর্তে ওই সময় অক্সিটোসিন, সেরাটোনিন, ডোপামিন হরমোনের বাড়ে। এই হরমোনগুলি মন, শরীর এবং মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাই চুমু খাওয়ার সময় প্রগা়ঢ় শান্তিতে বুজে আসে চোখ। চুমু খেলে মন শান্ত হয়, মানসিক চাপ কমে।
২) চুম্বনরত অবস্থায় রক্তনালিগুলির মুখ প্রসারিত হয়, শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হার বেড়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঋতুস্রাবকালীন যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতেও চুমু দারুণ উপকারী।
৩) চুম্বনের সময় মুখের পেশিগুলি বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। চুমু খাওয়ার ফলে এক ধরনের ব্যায়ামও হয়ে যায়। চুমু খেলে প্রতি মিনিটে প্রায় অনেকটা পরিমাণে ক্যালোরি খরচ হয়। কাজেই বা়ড়তি মেদ ঝরিয়ে ত্বক টানটান রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প হতেই পারে চুম্বন।
৪) চুম্বনের সময় হৃদ্স্পন্দন বৃদ্ধি পায়। শিরা, ধমনীগুলি প্রসারিত হয়। শরীরে রক্ত স্বাভাবিক ও স্বচ্ছন্দগতিতে প্রবাহিত পারে। এর ফলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫) চুমু খেলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। রক্ত সঞ্চালন সচল থাকার ফলে ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ে। কোলাজেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বক মসৃণ রাখে। ত্বকের সতেজতা বজায় রাখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy