এই গরমে কোষ্ঠকাঠিন্য মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ছবি: সংগৃহীত।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন অনেকই। বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক, জল কম খাওয়া, তেল-মশলাদার খাবারের প্রতি আসক্তি, শরীরচর্চা না করা— এমন কয়েকটি কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা বাসা বাঁধে শরীরে। বিশেষ করে এই গরমে কোষ্ঠকাঠিন্য মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ার উপরেরও বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম মেনে না চললে সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে উঠতে পারে। তাই চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ উভয়েই কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের ঘরোয়া খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে শাকসব্জি এবং ফলমূল খাওয়ারও পরামর্শ দেন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়াতে কোন ফলগুলি খাবেন?
আঙুর
এই ছোট্ট ফলেও রয়েছে খাদ্যের নানা ধরনের জরুরি উপাদান। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে জলের জুড়ি মেলা ভার। শরীরে জলের মাত্রা যত বেশি থাকবে, ততই সমস্যা থাকবে দূরে। আঙুরের অনেকটাই জল। তার সঙ্গে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার। ফলে প্রাতরাশে কয়েকটি করে আঙুর খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।
কিউয়ি
এই ফলে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। পাশাপাশি, এক একটি কিউয়িতে থাকে অন্তত আড়াই গ্রাম ফাইবার। তা ছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জল। সব মিলিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে যথেষ্ট সক্ষম এই ফল।
আপেল
আপেলে আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে যা খুবই জরুরি। ফলে রোজ সকালে একটি করে আপেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
তরমুজ
অনেক সময়ে শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। শরীর আর্দ্র রাখতে এমন ফল বেশি খাওয়া উচিত, যাতে জলের পরিমাণ বেশি। সে ক্ষেত্রে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। তরমুজ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এই গরমের বাজার ছেয়েছে এই ফলে। তাই গ্রীষ্মে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে তরমুজ খেতে পারেন।
পেঁপে
শরীরের যত্নে পেঁপের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার মোকাবিলা করতে অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে পেঁপে। এই ফলে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy