থাইরয়েডের অসুখে সুস্থ থাকার দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থ্রাইটিসের মতো ক্রনিক রোগ বয়স বাড়লে জাঁকিয়ে বসে। এই তালিকায় রয়েছে থাইরয়েডের সমস্যার মতো অসুখও। তবে থাইরয়েডের অসুস্থতার সঙ্গে বয়সের সেই অর্থে কোনও সম্পর্ক নেই। থাইরয়েডের সমস্যা যে কোনও বয়সেই ধরা পড়তে পারে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে জীবনযাপন কড়া নিয়মে বেঁধে দেন চিকিৎসকেরা। খাওয়াদাওয়াতেও বিধিনিষেধ মেনে চলা জরুরি এ ক্ষেত্রে। তবে সেই সঙ্গে শরীরচর্চার অভ্যাসও বজায় রাখতে হবে। কয়েকটি যোগাসন যদি নিয়ম মেনে করতে পারেন, তা হলে সুস্থ থাকা সম্ভব।
হলাসন
প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার কোমরে ভর দিয়ে পা দু’টি ধীরে ধীরে উপরে তুলুন। পা যেন ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকে। হাতের তালুতে চাপ দিয়ে পা দু’টিকে মাথার উপর দিয়ে পিছন দিকে নিয়ে যান। এ বার পিঠ ধীরে ধীরে মাটি থেকে এমন ভঙ্গিতে তুলুন যাতে পায়ের আঙুলগুলি মাটি স্পর্শ করে। এ বার বুকের কাছে থুতনি নিয়ে আসুন। হাতের তালু এ ভাবে ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই আসনটিতে কিছু ক্ষণ থাকুন। তার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
সর্বাঙ্গাসন
হলাসনের মতোই এই আসনটি করার জন্যে প্রথম চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। তার পর পিঠের উপর ভর দিয়ে দু’হাতের তালুর সাহায্যে কোমর ও পা দু’টি উপরে তুলে ধরুন। এ বার কনুই থেকে হাত ভাঁজ করে পিঠটা ছেড়ে দিন তালুর উপর। কাঁধ, কোমর, পায়ের পাতা যেন এক সরলরেখায় থাকে। বুকের সঙ্গে থুতনি স্পর্শ করে দৃষ্টি স্থির করে সরাসরি পায়ের পাতার দিকে তাকান। কিছু ক্ষণ এই অবস্থায় থাকুন। মিনিট দুয়েক পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
ভুজঙ্গাসন
প্রথমে উপুড় হয়ে দু’পা জোড়া করে সোজা রেখে শুয়ে পড়ুন। এ বার মেঝের উপর হাতের তালুর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। মাথা ঘাড়ের দিকে হেলিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতি দিন এই ব্যায়ামটি করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy