কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে বেশির ভাগ সময়ে এক জায়গায় বসে থেকে কাজ করলে। ছবি: শাটারস্টক।
প্রায় রোজই শৌচাগারে অনেক বেশি সময় লাগে। এই নিয়ে রোজই হাসি-ঠাট্টা, কখনও বা অভিযোগ শুনতে হয়। এই অভিজ্ঞতা কম-বেশি প্রায় সব বাড়িতেই আছে। এরই মধ্যে মাঝেমাঝে কমোডে তাজা রক্ত দেখে আতঙ্ক হয়। কিন্তু অনেকেই এ সব সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা কিছু দিনের আবার কারও ক্ষেত্রে মাস ছয়েকের বেশিও থাকে। যাঁদের এটা দীর্ঘ দিন থাকে, তাঁদের জন্য এটা ভীষণই বিরক্তির। তবে জীবনধারার বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটালে বাগে আনা যাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কী কী করবেন?
কায়িক পরিশ্রম করুন
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে বেশির ভাগ সময়ে এক জায়গায় বসে থেকে কাজ করলে। তাই এ দিক-ও দিক চলাফেরা করা বা কায়িক পরিশ্রম করা জরুরি। খাবার খাওয়ার পর রোজ নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটুন। লিফ্টে বেশি না চড়ে চেষ্টা করুন সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে। সপ্তাহের শেষে ছোটখাটো খেলাধুলো করতে পারেন। মূল ব্যাপারটা হচ্ছে শরীরের গতিবিধি বাড়ান বা কায়িক পরিশ্রম করুন। যোগাসন শরীরের পেশিকে প্রসারিত করে। তাই প্রতিদিন সকালে যদি বেশ কিছু যোগাসন করেন উপকার পাবেন। রোজ নিয়ম করে ১৫ মিনিট সময় দিন, তা হলেই যথেষ্ট। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে বজ্রাসন, ভুজঙ্গাসন, হলাসন, পবনমুক্তাসন, পশ্চিমোত্তানাসন করতে পারেন।
ফাইবারযুক্ত খাবার খান
খাদ্যতালিকায় কেবলই মাছ-মাংস রাখেন? তা হলে সমস্যা তো বাড়বেই। রোজ নিয়ম করে ফাইবারযুক্ত খাবার খান। পাতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ গ্রাম ফাইবার যেন পড়ে। শাকসব্জি, রুটি, ফল এগুলো খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আপনিই কমবে।
জল খান
কম জল খাওয়া যাঁদের অভ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তাঁদেরই সবচেয়ে বেশি হয়। তাই বেশি করে জল খান। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য আরও বাড়বে। জল খেলে অনেকটা নিষ্কৃতি মিলবে এই সমস্যা থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy