মশলা যত্ন নেবে শরীরের। ছবি: সংগৃহীত।
মশলাদার খাবার খেতে ভাল লাগে। কিন্তু মশলা শরীরের যত্ন নেয় না। তাই মশলাদার খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। বিশেষ করে শীতে পেটের সংক্রমণ রুখতে তেল-মশলা বিশেষ না খাওয়াই ভাল। অন্য সময়ে দেদার এ সব খেয়ে সুস্থ থাকা সম্ভব হলেও শীতে সেই ঝুঁকি না নেওয়াই শ্রেয়। কারণ এই মরসুমে প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি তলানিতে চলে যাওয়া যে কোনও অসুখ বাসা বাঁধে শরীরে। তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। শুধু সতর্ক নয়, সুরক্ষিত থাকতে ভিটামিন সি খেতে হবে। বিভিন্ন ফল, সব্জিতে ভিটামিন সি আছে। তবে ভিটামিন সি পেতে পারেন কিছু মশলা থেকেও। মশলা মানেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তা কিন্তু নয়। কিছু মশলা ভিটামিন সি-র সমৃদ্ধ উৎস। শরীর খারাপ হওয়ারও ভয় নেই। ভিটামিন সি-র ঘাটতি পূরণ করতে কোন মশলাগুলি ভরসাযোগ্য?
১) সর্দি-কাশির অন্যতম ঘরোয়া দাওয়াই হল গোলমরিচ। ঠান্ডা লাগলেই গোলমরিচ দিয়ে ফুটিয়ে সেই জল খেলে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায়। সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়াই করতে পারে কারণ, গোলমরিচে রয়েছে ভিটামিন সি। গোলমরিচের মাধ্যমে এই ভিটামিন শরীরে যায়। ভিটামিন সি পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে গোলমরিচ ভরসাযোগ্য।
২) কষা মাংস কিংবা মাছের পাতলা ঝোল— ফোড়নে তেজপাতা না দিলে স্বাদ বাড়ে না রান্নায়। তেজপাতা শরীরের যত্ন নিতেও সমান পারদর্শী। তেজপাতায় রয়েছে ভিটামিন সি। তেজপাতার গুণে যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পায় শরীর। ভিটামিন সি ছাড়াও এই পাতায় রয়েছে ফলিক অ্যাসিড। সুস্থ থাকার সঞ্জীবনী হতে পারে তেজপাতা।
৩) ঝাল পছন্দ না হলেও শীতে রান্নায় একটু লঙ্কার গুঁড়ো দিলে খেতে মন্দ লাগে না। খাবার দেখতেও বেশ লোভনীয় হয়। লঙ্কার গুঁড়োর কিন্তু স্বাস্থ্যগুণ কম নয়। লঙ্কার গুঁড়োয় রয়েছে ভিটামিন সি। যে কোনও অসুখ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এই মশলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy