গরম জল খেলে আদৌ কি মেদ ঝরে?
ওজন কমিয়ে রোগা হতে চান অনেকেই। তার জন্য পরিশ্রমও কম করেন না। জিমে যাওয়া, মেপে খাওয়াদাওয়া করা, হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো— বিস্তর চেষ্টার পরেও অনেক সময় ওজন কমতে চায় না। কিংবা কমলেও তা না কমারই মতো। ওজন কমানোর এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় তখন অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, জলের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রোগা হওয়ায় মন্ত্র!
ভাবছেন নিশ্চয়ই এমনটা কি করে সম্ভব? বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। নানা রোগ-বালাই থেকে রক্ষা পেতে জল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু যদি জল খাওয়ার আগে কিঞ্চিৎ গরম করে নেওয়া যায়, তবে তা ওজন কমাতেও কার্যকরী হতে পারে। গরম জল শরীরের বিপাকক্রিয়াকে উদ্দীপিত করতে সহায়তা করে। বিশেষত, সকাল সকাল উষ্ণ জল পান করা বিপাক প্রক্রিয়াকে দ্রুত সক্রিয় করতে পারে। তা ছাড়া গরম জল শরীরে জমে থাকা ফ্যাট ভাঙতেও সাহায্য করে, যার ফলে পরিপাকতন্ত্রের পক্ষে ফ্যাট জাতীয় পদার্থ পরিপাক করা সহজতর হয়। খাওয়ার আগে কিছুটা গরম জল খেয়ে নিলে পেট কিছুটা হলেও ভরাট লাগে, এতে খুব বেশি খাবার খেতে ইচ্ছে করে না। তাই শরীরে কম পরিমাণে ক্যালোরি যায়। তাই ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ওজন কমানো ছাড়াও গরম জলের আর কী কী গুণ রয়েছে?
১) গরম জল খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বার হয়ে যায়। গরম জল খেলে ঘাম হয়। ঘামের মাধ্যমে বার হয়ে যায় ক্ষতিকারক টক্সিন।
২) প্রতি দিন খাওয়ার পর গরম জল খেলে গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
৩) দেহে রক্ত চলাচল বাড়ে যদি খাওয়া হয় গরম জল। পেশি সঞ্চালনা আরও মসৃণ হয় এই পদ্ধতিতে।
৪) কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থাকলে গরম জল খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
৫) ঋতুস্রাবের সমস্যায় তলপেটের যন্ত্রণায় কষ্ট পান অনেকে মহিলাই। এই সময় গরম জল খেলে তলপেটের পেশিগুলি আরাম পায়। যন্ত্রণা কম হয়।
৬) সর্দি-কাশি হলে নাক বন্ধ হয়ে যায়, সেই সময় শ্বাসনালীতে জমে থাকা সর্দি বের হয়ে যায় যদি খান গরম জল। তাহলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও মিলবে মুক্তি।
৭) অকালে বলিরেখা পড়া বা ব্রণর সমস্যা থেকে ত্বককে ভাল রাখতে নিয়মিত খান গরম জল। গরম জল ত্বককে আদ্র রাখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy