সামান্য হাঁটাহাটিতে গা-হাত-পায়ে ব্যথা হচ্ছে? ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন? সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন কেউ কেউ। বিশেষ করে যাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়, তাঁদের জীবনে শোয়া-বসা-চলার মতো পিঠের ব্যথাও যেন প্রাত্যহিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যথা যখন অল্পসল্প সমস্যা করছে, তখন ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে সামাল দেন অনেকে। কিন্তু যখন ওষুধ আর কাজ করে না এবং ব্যথাও ক্রনিক হতে শুরু করে, তখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া গতি থাকে না। তবে ব্যথা যদি চিরতরে নির্মূল করতে হয়, তা হলে যোগাসনই ভরসা হতে পারে। নানা রকম আসনের মধ্যে ব্যথা কমানোর একটি আসন হল অর্ধ তিতলি আসন। পদ্ধতি সহজ, যে কেউ করতে পারেন। ম্যাটের উপর বসেই করা যায় আসনটি।
যোগাসন প্রশিক্ষকেরা বলেন ‘অর্ধ প্রজাপতি’ বা ‘অর্ধ তিতলি’ আসন। পায়ের ব্য়থা, হজমের সমস্যা, মেদ কমানো থেকে শুরু করে এই আসনের উপকারিতা অনেক। পায়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে সায়াটিকার ব্যথাও সেরে যায়।
কী ভাবে করবেন?
১) ম্যাটের উপর পা ছড়িয়ে পিঠ সোজা করে বসুন। মাথাও সোজা রাখতে হবে।
২) এ বার ডান পা মুড়ে হাঁটু ভাঁজ করে বাঁ ঊরুর উপরে রাখুন। খুব বেশি চাপ দেবেন না।
৩) বাঁ হাত দিয়ে ডান পায়ের পাতা ও ডান হাত দিয়ে হাঁটু ধরে থাকুন।
৪) এ বার শ্বাস নিতে নিতে বাঁ হাত দিয়ে ডান হাঁটু ধরে বুকের কাছে নিয়ে আসুন। যতটা সম্ভব হয়, সেটুকুই বুকের কাছে আনবেন। আবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাঁটু নামিয়ে নিন। এই পদ্ধতিতে ডান হাঁটু ধরে এক বার বুকের কাছে আনুন, আর এক বার নামিয়ে নিন। যতটা দ্রুত করতে পারবেন, ততই ভাল।
আরও পড়ুন:
৫) একই পদ্ধতিতে অন্য পায়েও করুন। ৫-৭ সেট করে আসনটি করতে হবে।
উপকারিতা:
পায়ের ব্যথা, সায়াটিকার ব্যথা কমে যাবে।
পায়ের রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে, পেশির জোর বাড়বে।
পিঠ-কোমরের ব্যথা সেরে যাবে নিয়মিত এই আসন অভ্যাসে।
মেদ ঝরবে, সারা শরীরের স্ট্রেচিং হবে।
হজমশক্তি বাড়বে, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমবে।
সারা শরীরের ভারসাম্য রাখতে নিয়মিত অভ্যাস করতে পারেন এই আসন।
কারা করবেন না?
পিঠে আঘাত লাগলে বা অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করা যাবে না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া আসনটি অভ্যাস করতে যাবেন না।
হাঁটুতে অস্ত্রোপচার বা হাঁটু প্রতিস্থাপন হলে আসনটি করা যাবে না।