প্রতীকী ছবি।
চপ-পেঁয়াজি-শিঙাড়ার সঙ্গে সস খেতে প্রায় সকলেই ভালবাসেন। প্রাপ্তবয়স্করা তো বটেই, বাড়ির খুদেরাও ভক্ত সসের। ম্যাগি হোক বা ডিম পাউরুটি— সস না হলে মুখে তুলবে না তারা। এই অভ্যাসের ফলে অনেক সময়ই একটু বেশি পরিমাণে সস খাওয়া হয়ে যায়। কিন্তু তাতে শরীরে যে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে, তা আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না।
সস তৈরি করার সময়ে টমেটোর সঙ্গে নুন, নানা রকম মশলা, চিনি এবং সিরাপও দেওয়া হয়। তাই ১৭ গ্রাম সসে ১৯ ক্যালরি থাকে। ভাজাভুজির সঙ্গে যখন সস খাওয়া হয়, তখন ক্যালরি আরও বেড়ে যায়। শরীরে নুনের পরিমাণও অনেকটাই বেড়ে যায়। এতে উচ্চ রক্তচাপ এবং পরবর্তী কালে আরও নানা রকম শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। সস তৈরি করতে যে সিরাপ ব্যবহার হয়, তাতেও স্থূলতা, ডায়াবিটিস বা ফ্যাটি লিভারের মতো নানা রকম রোগও দেখা দিতে পারে শরীরে। তাই এক চা চামচ সস খেলে তেমন ক্ষতি না হলেও, কী দিয়ে খাচ্ছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই ওজন কমানোর সময়ে সস খাওয়া যতটা মুশকিলের, স্বাস্থ্যের পক্ষেও ততটাই বিপজ্জনক।
তা হলে উপায় কী? এ বার থেকে কি সব খাবার বিনা সসেই খেতে হবে? তা নয়। বাড়িতেই যদি কম নুন এবং চিনি বা সিরাপের বদলে গুড় কিংবা মধু দিয়ে টমোটো সস বানিয়ে নিতে পারেন, তা হলে সেটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হবে। এবং মাঝেমাঝে নির্দ্বিধায় আপনি ইচ্ছেমতো খেতেও পারবেন। সসের বিকল্প হিসেবে পুদিনা-ধনেপাতার চাটনি বানিয়ে রাখতে পারেন। কিংবা জল ঝরানো দইয়ের মধ্যে রসুন আর পেঁয়াজকলি দিয়ে অত্যন্ত সুস্বাদু ডিপ বানিয়ে নিতে পারেন। ভাজাভুজি খাওয়ার সময়ে এই স্বাস্থ্যকর ডিপ দারুণ লাগে খেতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy