Advertisement
E-Paper

পেটের চর্বি কমাবে ‘পিরামিড ওয়াকিং’! হাঁটতে হবে এক বিশেষ পদ্ধতিতে

জোরে হাঁটাও নয়, আবার ধীরেও নয়। এমন ভাবে হাঁটতে হবে, যাতে প্রতি মিনিটে ক্যালোরি ঝরে এবং ক্লান্তিও না আসে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ ১৪:৫০
What is Pyramid walking, how it reduce belly fat quickly

চর্চায় ‘পিরামিড ওয়াকিং’, কী এই পদ্ধতি? ছবি: ফ্রিপিক।

সকালে উঠে অনেকেই হাঁটেন। কেউ জোরে, কেউ ধীরে। কিন্তু ‘পিরামিড ওয়াকিং’ করেছেন কখনও? হাঁটার এই বিশেষ পদ্ধতিতে নাকি ওজন কমে খুব তাড়াতাড়ি। পেটের থলথলে চর্বি নিয়ে যাঁরা নাজেহাল, তাঁদের জন্য ‘পিরামিড ওয়াকিং’ খুব ভাল উপায় বলেই মনে করেন ফিটনেস প্রশিক্ষকেরা। কিন্তু পদ্ধতিটি কেমন?

খুব জোরে হাঁটাও নয়, আবার ধীরেসুস্থে হাঁটাও নয়। হাঁটতে হবে এমন ভাবে, যাতে ঘামও ঝরে আবার শরীর ক্লান্তিও না আসে। হন্তদন্ত হয়ে হাঁটা নয়, দৌড়নোও নয়, এমন হাঁটা নিয়েই এখন চর্চা বেশি হচ্ছে। তারকা থেকে খেলোয়াড়, ফিট থাকতে পিরামিড ওয়াকিং অভ্যাস করছেন অনেকেই।

পিরামিড ওয়াকিং কেমন?

পিরামিডের আকার মনে করুন। নীচের অংশের আয়তন বেশি, উপরের অংশটা ধীরে ধীরে সরু হয়েছে। হাঁটার পদ্ধতিও এমন আকারকে মাথায় রাখলেই হবে। শুরু করতে হবে ধীরে ধীরে। হাঁটতে হবে এক পা, দু’পা করে। তার পর গতি বাড়বে আর একটু। শরীর সয়ে গেলে এবং কোনও সমস্যা না হলে, গতি আরও বাড়াতে হবে। শেষের দিকে বেশ জোরেই হাঁটতে হবে। আবার গতি কমিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসতে হবে।

হাঁটার চার ধাপ

ওয়ার্ম আম

ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ় করে শরীর চনমনে করে নিতে হবে। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে স্পট জগিং বা জাম্পিং জ্যাক করতে পারেন। এতে কাজ হবে বেশি। ওয়ার্ম আপের জন্য সময় দিতে হবে ৩ থেকে ৫ মনিট।

বিল্ড-আপ পর্ব

‘ব্রিস্ক ওয়াকিং’ দিয়ে শুরু করতে হবে। অর্থাৎ, ধীরে হাঁটা শুরু করতে হবে। ১ মিনিট দুলকি চালে হাঁটলে পেশির আড়ষ্টতা দূর হবে।

এর পরের ৩ মিনিট গতি আর একটু বাড়ান। একটানা হাঁটতে হবে, বিরতি নিলে হবে না।

পিক পর্ব

গতি একই রকম রেখে, আরও ৪ মিনিট খুব জোরে হাঁটতে হবে। যদি ঢালু পথে হাঁটতে পারেন, তা হলে বেশি ভাল হবে।

কুল-ডাউন পর্ব

ধীরে ধীরে গতি কমাতে হবে। পরের ৩ মিনিট আস্তে হাঁটুন। এতে শরীরের রক্তচাপে ভারসাম্য বজায় থাকবে।

গতি আরও কমাতে হবে। পরের ২ মিনিট আরও ধীরে হাঁটতে হবে।

গতি একেবারে কমিয়ে আবার দুলকি চালে ফিরে যান। ১ মিনিট এ ভাবে হেঁটে বিশ্রাম নিন।

পিরামিড ওয়াকিংয়ের জন্য ২০-২৫ মিনিট সময় হাতে রাখতে হবে। তার মধ্যেই চারটি পর্ব শেষ করতে হবে। এতে শরীরের ধকলও কম হবে আবার হাঁটাও হবে নিয়ম মেনে। বয়স্কদের জন্য খুবই ভাল হাঁটার এই পদ্ধতি। যাঁরা হাঁটাচলা কম করেন, একটু বেশি হাঁটলেই পায়ে ব্যথা হয়, তাঁরা পিরামিড ওয়াকিং দিয়েই শরীরচর্চা শুরু করুন। হাঁটার এই পদ্ধতির প্রতিটি ধাপই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রতি মিনিটে ক্যালোরি পুড়বে। ভারী খাবার খাওয়ার পরেও যদি এ ভাবে হাঁটেন, তাতে হজম ভাল হবে, বাড়তি ক্যালোরি ঝরে যাবে।

পিরামিড ওয়াকিং যে কেবল মেদ কমাবে, তা-ই নয়, এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। ডায়াবিটিসের রোগীরা এই পদ্ধতিতে হাঁটলে রক্তে শর্করা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে যাঁদের হার্টে অস্ত্রোপচার হয়েছে অথবা আর্থ্রাইটিসের সমস্যা আছে, তাঁরা প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে তবেই হাঁটা শুরু করবেন।

Walking Fitness Tips Obesity
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy