সাময়িক চুল পড়ার মূল কারণ হল শরীরের উপর হঠাৎ চাপ বৃদ্ধি। ছবি: সংগৃহীত
চুল পড়া বা ‘টেলোজেন এফ্লুভিয়াম’-এর মতো সমস্যা প্রায়ই ওজন কমানোর পর দেখা যায়। ওজন হ্রাসের ৩ থেকে ৪ মাস পরে অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হন। প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত চুল পড়ার সমস্যা থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সাময়িক চুল পড়ার মূল কারণ হল শরীরের উপর হঠাৎ চাপ বৃদ্ধি।
‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটোলজি’-র গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। চুল পড়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। ওজন কমা, অস্ত্রোপচার কিংবা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর অনেক সময়ে চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায়।
চুল মূলত কেরাটিন প্রোটিন দিয়ে তৈরি। শরীরের ভিতরের বা বাইরের কোনও কার্যকলাপের ফলে সেই উপকারী প্রোটিন কেরাটিন অনেক সময়ে নষ্ট হয়ে যায়। চুল তার পর্যাপ্ত পুষ্টি হারায়। ফলে ধীরে ধীরে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে থাকে।
সাধারণত চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর সময়ে বা শ্যাম্পু করার সময়ে মাত্রাতিরিক্ত হারে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে ‘টেলোজেন এফ্লুভিয়াম’ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। চুল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথার ত্বকে র্যাশ বা চুলকানিও হতে পারে।এই সমস্যা ট্রাইকোডাইনিয়া নামে পরিচিত।
ওজন কমানোর পর চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে আশঙ্কিত হয়ে পড়ার কোনও কারণ নেই বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে ওজন কমানোর সময়ে একেবারে খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার এবং সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন। কারণ শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি থাকলে তার প্রভাব পড়ে ত্বক এবং চুলের উপর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy