দিনের একটা বড় সময় পেশাগত দায়বদ্ধতার জন্য বরাদ্দ থাকে। আর তার ফলে দিনে প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা (কখনও তারও বেশি) সময় প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ারে বসে কাটাতে হয়। আবার গাড়ি চালানো বা গণপরিবহণে চড়ার ক্ষেত্রেও বসে থাকতে হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসার ভঙ্গিতে কাজ করার ফলে দেহের নমনীয়তা কমে যায়। তার ফলে পেশি শক্ত হয়ে পিঠ ও কোমরের ব্যথা শুরু হয়। কারণ একই স্থানে বসে থাকার জন্য অস্থিসন্ধির ক্ষমতা কমে আসে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শরীরের নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে একটি বিশেষ ভঙ্গি।
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, যাঁরা দীর্ঘ ক্ষণ চেয়ারে বসে কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে মাটিতে শুয়ে থাকা আরামদায়ক। মাটিয়ে উপুড় হয়ে বা চিত হয়ে শুয়ে থাকলে শরীরের অস্থিসন্ধির সুবিধা হয়। এই ভাবে কোমরের একাধিক পেশির (হিপ ফ্লেক্সার) নমনীয়তা বজায় থাকে। মাটিয়ে শোয়া বা ওই অবস্থান থেকে পুনরায় উঠে দাঁড়ানোর জন্য শরীরের প্রায় সিংহভাগ পেশি এবং অস্থিসন্ধি ব্যবহৃত হয়।
সতর্কতা
বয়স্কদের ক্ষেত্রে মাটিতে বসা বা মাটি থেকে উঠে দাঁঢ়ানোর সময়ে যদি দেহে ভারসাম্যের অভাব বোধ বয়, তা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। আবার কেউ যদি অলস প্রকৃতির হন, তা হলে তা দীর্ঘ ক্ষণ চেয়ারে বসার থেকেও তা বেশি ক্ষতিকারক হতে পারে।
মাটিতে শোয়ার ভঙ্গি উপকারী হতে পারে। কিন্তু তাই বলে দীর্ঘ ক্ষণ কেউ মাটিতে শুয়ে থাকলে, তখন উপকারের থেকে অপকারই বেশি হয়। খেয়াল রাখতে হবে দেহের নমনীয়তা বজায় রাখতে শুধুমাত্র একটি ভঙ্গি যথেষ্ট নয়। চেয়ারে বসা, হাঁটা, মাটিয়ে শোয়া— দেহের বিভিন্ন ধরনের নড়াচড়ার সামঞ্জস্যের নিরিখেই কোনও ব্যক্তির চলাফেরার সুস্থতা নির্ভর করে।